ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের সাম্প্রতিক বিভিন্ন সহিংস ও ধ্বংসাত্মক কর্মসূচীর প্রেক্ষাপটে জেলার ৯টি থানাসহ বিভিন্ন পুলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এসব থানা, পুলিশ ফাঁড়ি ও তদন্ত কেন্দ্রের সামনে বালির বস্তা ফেলে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা জোরদারসহ জনবল বৃদ্ধি ও এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। থানাগুলো ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একই ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
থানাগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা, বিজয়নগর থানা, নবীনগর থানা, আশুগঞ্জ থানা, সরাইল থানা, নাসিরনগর থানা, কসবা থানা, আখাউড়া থানা ও বাঞ্চারামপুর থানা।
পুলিশ ফাঁড়িগুলো হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ১ নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, ২ নং শহর পুলিশ ফাঁড়ি, বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর পুলিশ ফাঁড়ি ও আখাউড়া উপজেলার ধরখার পুলিশ ফাঁড়ি।
আরও পড়ুন: সিলেটের সকল থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে নিরাপত্তা জোরদার
তদন্ত কেন্দ্রগুলো হচ্ছে নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় তদন্ত কেন্দ্র ও বিজয়নগর উপজেলার আউলিয়া বাজার তদন্ত কেন্দ্র।
পুলিশ ক্যাম্পগুলো হচ্ছে আশুগঞ্জ সার কারখানা পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (পিডিবি) পুলিশ ক্যাম্প, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোলপ্লাজা পুলিশ ক্যাম্প, নবীনগর উপজেলার শিবপুর পুলিশ ক্যাম্প ও ছলিমগঞ্জ পুলিশ ক্যাম্প, বিজয়নগর উপজেলার চম্পনগর পুলিশ ক্যাম্প, জেলা পুলিশ লাইন্সে ৪টি এবং পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে একটিসহ মোট ২৭টি এলএমজি চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে।
এসব নিরাপত্তা পোস্টে আধুনিক ও ভারি অস্ত্রসহ প্রশিক্ষিত পুলিশ সদস্যসের নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পে ইতোমধ্যেই জনবল বৃদ্ধিসহ পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করা হয়েছে। দুষ্কৃতিকারীরা যেন কোন পুলিশ স্থাপনায় হামলা বা সহিংস ঘটনা ঘটাতে না পারে সেজন্য ঊর্ধ্বতন অফিসাররা নিয়মিত মনিটরিং করছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. রইছ উদ্দিন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এসব পুলিশি স্থাপনাগুলোতে বালির বস্তা ফেলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রশিক্ষিত পুলিশ অফিসার নিয়োগসহ লোকবল বৃদ্ধি করা হয়েছে ও তাদেরকে আধুনিক ও ভারি অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছে।