ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির ও পদবঞ্চিতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
বিস্ফোরণ ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সদর মডেল থানার দু’জন উপপরিদর্শক (এসআই) বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন।
এসব মামলায় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীদের আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ জুন) সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমরানুল ইসলাম জানান, দায়ের করা দুইটি মামলার একটিতে ৪৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৩০-১৫০জনকে আসামি করা হয়েছে। অপর মামলায় ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে মসজিদে সংঘর্ষ, নিহত ১
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা ছাত্রদলের সাত সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিশেষ সহকারী আব্দুর রহমান সানির বড় ভাই কবির আহমেদ ভূঁইয়ার অনুসারী শাহীনুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সমীর চক্রবর্তীকে সদস্য সচিব করা হয়।
নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর, সদস্য সচিব সমীর, যুগ্ম আহ্বায়ক এলভিন লস্কর ও আব্দুল গাফফার রিমন শুক্রবার সকালে জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আবু শামীম মো. ভিপি শামিমের কান্দিপাড়ার বাসায় যান। সেখানে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যদের শুভেচ্ছা দেওয়া হচ্ছে বলে জানতে পারেন পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
এই খবরে পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা জেলা কৃষক দলের আহ্বায়কের কান্দিপাড়ার বাড়িতে হামলা চালায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে পুলিশের এসআই’র বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
এ সময় আবু শামীমের বাড়ির পেছন দিয়ে সদ্য ঘোষিত কমিটির সদস্যরা পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন।
একই দিন বিকালে জেলা শহরের টিএ রোড ও পাওয়ার হাউস রোডে বিক্ষোভ মিছিল করে ছাত্রদলের পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। মিছিল শেষে তারা কান্দিপাড়ায় জেলা ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক শাহীনুর রহমান ও কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার কাউন্সিলরের বাড়িতে হামলা করে ভাঙচুর চালায়।
এরপর দিন শনিবার রাতে শহরের কান্দিপাড়ায় সদ্য ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটির নেতারা পাল্টা হামলার প্রস্তুতি নেয়। এই খবরের পদবঞ্চিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উল্টো তাদের উপর হামলা করে। এতে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় অর্ধশত রাউন্ড গুলি বিনিময় হয় ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে নাশকতার মামলায় বিএনপির ৪০ নেতাকর্মীর বিচার শুরু