নিখোঁজের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনও নিখোঁজের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে কিশোরী ধর্ষণের দায়ে মুয়াজ্জিন গ্রেপ্তার
উপজেলার হুরুয়া গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে রোনা আক্তার (১৬),বাড়াইল গ্রামের মৃত লোকমান মিয়ার মেয়ে সোহানা আক্তার (১৭), বাঘাউরা গ্রামের আক্তার হোসেনের মেয়ে সাদিয়া আক্তার (১৫), সাদেকপুর গ্রামের আলম মিয়ার মেয়ে মিতু আক্তার (১২), বিদ্যাকুট গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে শারমিন আক্তার (১৩), ধরাভাঙ্গা গ্রামের উছমান মিয়ার মেয়ে সেতু আক্তার (১৩) ও নবীনগর সদরের কলেজ পাড়ার আবুল খায়েরের মেয়ে প্রিয়ন্তি (১৫) নিখোঁজ হন।
আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে লালমনিরহাটে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
এদের মধ্য থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ তিনজনকে উদ্ধার করতে পেরেছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, বাকিদের উদ্ধারে অভিযান এখনও অব্যাহত আছে।
জানা গেছে, করোনাকালীন সময়ে স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় ছাত্র-ছাত্রীরা অলস জীবন পার করছেন। তাদের এই অলস জীবনযাপনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, মোবাইলে কথোপকথন ও পারিবারিক অসচেতনায় নানান সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর-কিশোরীরা। তার ফলশ্রুতিতে এসব ছেলে-মেয়েরা পরিবার ছেড়ে গোপনে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে সেভ হোম থেকে ৩ তরুণী ও এক কিশোরীর পলায়ন
নিখোঁজের ঘটনাগুলোর সত্যতা নিশ্চিত করে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রশিদ বলেন, পারিবারিক অসচেতনায় এসব নিখোঁজের ঘটনা ঘটছে। আমরা এখন পর্যন্ত যাদের উদ্ধার করেছি তার সবাই প্রেম ঘটিত। বাকি নিখোঁজ কিশোরীদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আমাদের থানার কর্মকর্তারা অনেক পরিশ্রম করছেন।