লকডাউন শিথিলের পর বাস চলাচল শুরুর একদিনের মাথায় শ্রমিকদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এক শ্রমিক নেতাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বরিশালের দুই বাস টার্মিনাল থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে পৃথক দুই বাস মালিক সমিতি।
আরও পড়ুন: ক্যাম্পাসের বাসে বাড়ি ফিরছে ইবি শিক্ষার্থীরা
শ্রমিকরা জানান, বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের দু’টি কমিটি নতুনভাবে গঠিত হয়। এরপর থেকে দুই গ্রুপ শ্রমিক নেতাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় নানা সমস্যা দেখা দেয়। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টার্মিনাল ভবনের নিচতলায় কাউন্টারের সামনে সুলতান মাহামুদ-সহিদুল ইসলাম টিটু গ্রুপের সাথে পরিমল চন্দ্র দাস-শাহারিয়ার বাবুর গ্রুপের শ্রমিকদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের ঘটনার পর গোটা বাস টার্মিনাল এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে এবং বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায় চার ঘণ্টার জন্য। এরপর পরিমল ও বাবু নেতৃত্বাধীন শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে পুলিশ সুলতান মাহামুদসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে দ্বিতীয় দিনেও দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ, দুর্ভোগে যাত্রীরা
রুপাতলী মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, বৃহস্পতিবার সুলতান মাহামুদ তার লোকজন নিয়ে তাদের লোকজনের ওপর হামলা করেছে। বাস চলাচল বন্ধ করে দিলে পুলিশের আশ্বাসে বাস চলাচল স্বাভাবিক করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী সুলতান মাহামুদসহ সকলকে গ্রেপ্তারে আলটিমেটাম দেয়া হয়। তবে তারা গ্রেপ্তার না হওয়ায় রুপাতলী থেকে ১৭ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
বরিশাল জেলা বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার দে বলেন, সুলতান মাহামুদ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীকে গ্রেপ্তার করা না হলে বাস বন্ধই থাকবে।
এদিকে, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনালের সামনে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: বরিশালে শ্রমিকদের মুক্তির দাবিতে ২১ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
এ ব্যাপারে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে দ্রুত বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’