কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা পৌর শহরের হাজী ফুল মিয়া পাদুকা মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে দমকল বাহিনীর ৮টি ইউনিট কাজ করছে।
রবিবার চার ঘন্টার চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ৮টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ আনে কিশোরগঞ্জ জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোবারক আলী। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম।
জানা যায়, বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ, ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. শাহ আলম মোল্লা ও মার্কেট মালিক হাজী মো. ফুল মিয়া।
আরও পড়ুন: ভৈরবে জুতার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, নিয়ন্ত্রণে ৮টি ইউনিট
স্থানীয় বাসিন্দা ও মার্কেটের জুতা ব্যবসায়ী সূত্রে জানা যায়, ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়ক লাগোয়া ভৈরব উপজেলা পরিষদের সামনে হাজী ফুল মিয়া জুতা মার্কেট। এই মার্কেটে পাইকারি দরে জুতা বেচা-কেনা হয়ে আসছে। তৃতীয় তলা বিশিষ্ট মার্কেটে একটি বেসরকারি ব্যাংকের শাখাসহ প্রায় দেড় হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
ভবনের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় পাইকারি ব্যবসার দোকান। আর তৃতীয় তলায় পাদুকার গোদাম হিসেবে ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা। ফলে তৃতীয় তলায় মানুষের চলাচলও কম। এদিকে মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে শত শত ব্যবসায়ী ও উৎসুক জনতা ভীড় জমায়। ফলে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের যানযটের সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, রবিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে তৃতীয় তলা থেকে আগুনের কালো ধোঁয়া বের হতে দেখতে পায় লোকজন। পরে খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা শুরু করে। কিন্তু সময় বাড়ার সঙ্গে আগুনও বাড়তে থাকে। ফলে ভৈরবসহ আশ-পাশের জেলা ও উপজেলা থেকে সার্ভিসের ৮টি ফায়ার ইউনিট একযোগে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন।
তবে, কিভাবে এই আগুনের সূত্রপাত তা এখনো কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারছে না। তবে, দমকল বাহিনীর প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোবারক আলী জানান, রাত সাড়ে ৮টায় ৮টি ইউনিট একযোগে কাজ করে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। তাৎক্ষণিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা সম্ভব না।
সোমবার আমাদের ও জেলা প্রসাশকের পক্ষ থেকে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষে আগুনের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: শার্শায় জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডে ২০ জন আহত