ভোলা, ২২ জানুয়ারি(ইউএনবি)- ভোলার মেঘনা নদীতে মালামাল বোঝাই একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় দুই জন নিখোঁজ হয়েছেন।
রবিবার(২২ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের জোরা খাল সংলগ্ন মেঘনা নদীতে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ৭ জনসহ পণ্যবোঝাই ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় ৫ জনকে স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার করলেও নিখোঁজ রয়েছেন দুইজন।
নিখোঁজ দুজন হলেন বাবা-ছেলে। তাদের নাম রাজ্জাক সরদার ও পারভেজ সরদার। জীবিত উদ্ধার হওয়া ৫ সদস্যদের মধ্যে রাসেল সর্দার ভোলার রাজাপুরের ১ নং ওয়ার্ডের রতন সর্দারের ছেলে। বাকি রিয়াজ,সাকিল,রুবেল ও ফারুক একই এলাকা বাসিন্দা বলে জানান সাকিল।
আরও পড়ুন: মেঘনায় ট্রলারডুবি ঘটনায় শিশুসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সাকিল সাংবাদিকদের জানান, তারা ভোলার মনপুরা উপজেলা থেকে ভাঙাগারি মালামাল বোঝাই করে বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের উলানিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা করে ইলিশা ঘাটে পৌঁছার আগেই তাদের ট্রলারের মেশিনের ফ্যান ভেঙ্গে যায়। ফ্যান মেরামত করে ফের যাত্রা শুরু করলে উত্তর দিক থেকে প্রবল বাতাসের আঘাতে ট্রলারটির সামনের অংশ ডুবে গেলে তারা ৫ জন নদীতে লাফিয়ে পরেন।
নিখোঁজ রাজ্জাক ও পারভেজ ভিতরে আটকা পরায় তাদেরকে উদ্ধার করতে পারেননি তারা। পরে তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা জীবিতদের উদ্ধার করে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল করলে কোস্ট গার্ড,নৌ পুলিশ, জেলা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
ভোলা নৌপুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিদ্যুৎ কুমার ঘোষ জানান, মনপুরা থেকে একটি ট্রলার অতিরিক্ত ভাঙ্গারি মালামাল নিয়ে মেহেন্দীগঞ্জ যাচ্ছিল। পথে ট্রলারটি মেঘনা নদীর জোরখাল এলাকায় তীব্র বাতাস ও স্রোতের চাপে ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা পাঁচজন জেলে ট্রলারের সহায়তায় উদ্ধার হয়। বাকি ২ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার হওয়া এবং নিখোঁজ থাকা সকলেই মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।
বিদ্যুৎ কুমার আরও জানান, ঘটনার পর থেকে নৌ-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে রয়েছে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি, ২০ ট্রলারসহ ২৫০ জেলে নিখোঁজ