ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত দিনের বিশেষ অভিযান শুরু করেছে। রবিবার থেকে সপ্তাহ ব্যাপী এই বিশেষ অভিযান শুরু করা হয়েছে।
অভিযানের প্রথম দিনে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলেই অভিযান পরিচালনা করেছে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটেরা।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির নতুন ১৮ ওয়ার্ড: নাগরিক সেবায় নেই উন্নয়ন কর্মকাণ্ড
অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় চৌদ্দটি (১৪) মামলায় মোট ৪ লাখ ৩৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
উল্লেখ্য, গতকাল শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর উত্তরায় আজমপুর এলাকায় এডিস ও ডেঙ্গু বিরোধী নাগরিক সচেতনতামূলক প্রচারাভিযানে অংশ নিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসি এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের বাহক এডিস মশা নির্মূলে সাত (০৭) দিনের বিশেষ অভিযানের ঘোষণা দেন।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন গুলশান-২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় তিনটি মামলায় মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৬ এর আওতাধীন ৫১ নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর-১২ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন অভিযান পরিচালনা করেন।
উত্তরা এলাকায় অভিযান পরিচালনাকালে ৩টি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। লার্ভা প্রাপ্তি স্থানসমূহের লাভা ধ্বংস করে লার্ভা প্রাপ্ত তিনজন ভবন মালিককে ৩টি মামলায় ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযান: প্রায় ৮ লাখ টাকা জরিমানা
এছাড়াও অঞ্চল-১ এর আওতাধীন ১নং ওয়ার্ডের উত্তরা সেক্টর নং ১, ৩ ও ৫ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনার করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী ও নির্মাণাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লট, ড্রেন ঝোপঝাঁড়ে কিউলেক্স মশক বিরোধী অভিযান ও সমন্বিততভাবে এডিশ বিরোধী অভিযানে ৩টি স্থানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলায় মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-৯ এর আওতাধীন ৩৯নং ওয়ার্ডের খিলবাড়িরটেক এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। এডিসে লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অন্যান্য অঞ্চলগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এডিস মশা নির্মূলে সতর্ক করে দেয়া হয়। সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগে. জেনা. মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্ণেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: মশক নিধনে ডিএনসিসির বিশেষ অভিযান শুরু