মাগুরার শালিখায় ভুয়া মানবাধিকার কর্মী সেজে ওষুধের দোকান তল্লাশি এবং অর্থ আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে তিনজনকে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- শালিখা উপজোর বাকলবাড়িয়া গ্রামের শরৎচন্দ্র রায়ের মেয়ে কল্পনা রায়, সদর উপজেলার নিজনান্দুয়ালী গ্রামের কুদ্দুস আলির স্ত্রী হাসিনা বেগম এবং মালন্দ গ্রামের সুশান্ত কুমার বিশ্বাসের ছেলে উত্তম কুমার বিশ্বাস।
আরওে পড়ুন:ফেনীতে অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির ২২ বছর কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১২ ডিসেম্বর দুপুর বেলা আসামিরা একটি মাইক্রোবাসে করে মাগুরার শালিখা উপজেলার সিংড়া বাজারের সরকার ফার্মেসিতে গিয়ে নিজেদের মানবাধিকার কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন। জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে ‘ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার’ নিয়ে অভিযানে এসেছেন বলে তারা ফার্মেসি মালিক শেখর সরকারকে জানিয়ে সেখানে তল্লাশি চালান। একই সঙ্গে নগদ অর্থ দাবি করায় বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়।পরে ফার্মেসি মালিক পুলিশে খবর দিয়ে তাদের ধরিয়ে দেন।
ওই ঘটনার পর শেখর সরকার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাজেদুর রহমান সংগ্রাম জানান, ‘বাদীর অভিযোগ তদন্ত এবং মামলার সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে বৃহস্পতিবার মাগুরার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক অভিযুক্ত তিনজনের প্রত্যেককে দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন:চাঁপাইনবাবগঞ্জে অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় একজনের ১৭ বছর কারাদণ্ড