মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় ৬০ বছর বয়সী এক নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ পুতে রাখা হয় তারই ঘরের মেঝেতে।
নিখোঁজের সাত মাস পর ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন শেষে সংবাদ সম্মেলনে রবিবার এ তথ্য জানান বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় মুদি দোকানির গায়ে আগুন
সাত মাস আগে নিখোঁজ হন জেলার বাকেরগঞ্জের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত জয়নাল গাজীর স্ত্রীরিজিয়া বেগম। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই হাওলাদার মাসুদ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার সূত্র ধরে তদন্তে নামে বরিশাল জেলা পুলিশ। প্রযুক্তির ব্যবহার করে এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারা হলেন- একই ইউনিয়নের মধ্য কাটাদিয়া গ্রামের মৃত আইউব আলীর ছেলে মো. ফয়সাল ও মৃত কালাম হাওলাদার কালুর ছেলে লালচাঁন।
পুলিশ সুপার বলেন, রিজিয়া বেগম একাই বসবাস করতেন। প্রায় সাত মাস আগে নিখোঁজ হন তিনি। গত ১৩ এপ্রিল রিজিয়ার ছেলে রাসেল বাড়ি এলে ঘরের ভেতরে মাটির স্তুপ দেখতে পান। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা আদালতের নির্দেশে ঘরের ভেতর থেকে রিজিয়ার লাশ উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন প্রতিনিয়ত ওই নারীর ঘরে ও আশপাশে মাদক সেবন করতেন। এতে বাধা দেওয়ায় ঘটনার দিন অর্থাৎ প্রায় সাত মাস আগে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের পর গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করেন ফয়সাল ও লালচাঁন। এরপর রিজিয়ার ঘরেই মাটি খুঁড়ে তাকে চাপা দেন তারা।
তিনি বলেন, ফয়সাল ও লালচাঁন দুইজনেই মাদকাসক্ত। গ্রেপ্তার দুইজনকে রবিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে আগুন, প্রতিবাদে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ
মাদক সেবনের অভিযোগে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার