নিজ এলাকা থেকে ছাত্রীকে মোটরসাইকেলে তুলে জেলা সদরের একটি বাসায় নিয়ে এ পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার সিংগাইর থানায় মামলা দায়ের করলে ধর্ষনে সহযোগিতা করায় জমিলা খাতুন (৩৮) নামের এক নারীকে বুধবার ভোরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত জমিলা মানিকগঞ্জ জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকার জসিম উদ্দিনের স্ত্রী। সে ওই এলাকায় জনৈক নিলুফা বেগমের বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে।
মামলার এজাহার ও নির্যাতিতা ছাত্রীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগীর পরিবার উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের বাইমাইল গ্রামের বাসিন্দা। তারা পরিবার নিয়ে উপজেলার জামসা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামে বাসা ভাড়া করে থাকেন। ওই গ্রামের চান মিয়ার ছেলে ও এক সন্তানের জনক রুবেল ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার ছোট বোনকে প্রাইভেট পড়াতেন। এই সুযোগে সে বড় বোনকে (১৪) প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে যাওয়ার প্রস্তাব দিতো।
গত ৯ জুন ভুক্তভোগী ছাত্রী দাদার বাড়ি বাইমাইলে বেড়াতে গেলে রুবেল মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সেখান থেকে তার মোটরসাইকেলে তুলে জেলা শহরের উত্তর সেওতা এলাকায় কথিত খালা জমিলার বাসায় নিয়ে যায়। ওই বাসায় রুবেল তাকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ওই বাসায় আটকে রেখে তার আরও দুই সহযোগীও ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, তিন দিন আটকে রাখার পর ওই বাসার মোবাইল নাম্বার থেকে তার মেয়ে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানায়। পরে এলাকা থেকে লোকজন নিয়ে ওই বাসা থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন তারা।
এদিকে মামলার প্রধান আসামি প্রাইভেট শিক্ষক রহুল আমীন রুবেল মোবাইল ফোনে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি বাইমাইলে খালার বাড়ি বেড়াতে গেলে রাস্তায় মেয়েটাকে দেখতে পাই। তার ইচ্ছে অনুযায়ী মানিকগঞ্জ শহরের একটি বাসায় রেখে আসি।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিংগাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবুল কালাম বলেন, ঘটনার মূলহোতা রহুল আমীন রুবেলের কথিত খালা জমিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে, ভিকটিমের মেডিকেল পরীক্ষা বুধবার মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে বলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এরফান হোসেন জানান।