সাত দিনের ব্যবধানে একই ট্রেনের একই বগি লাইনচ্যুতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় নগরীর কেওয়াটখালিতে চট্টগ্রামগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হলে ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার কাজ শেষ হলে ময়মনসিংহের সঙ্গে তিনটি রেলপথে তিন ঘন্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। দুর্ঘটনার ফলে এই তিনটি রেলপথের বিভিন্ন স্টেশনে আন্ত নগর, মেইল ও লোকাল ট্রেন আটকা পড়ায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ ঘটনায় রেলওয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শাহীনুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে মালবাহী ট্রেন লাইনচ্যুত
ময়মনসিংহ জিআরপি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন আহম্মেদ জানান, শনিবার সকাল সোয়া ৮টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে আসা চট্রগ্রামগামী ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস ট্রেনের মালবাহী বগির চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে ময়মনসিংহের সঙ্গে নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম এই তিনটি রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে কেওয়াটখালী লোকশেড থেকে একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় তিন ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে লাইনচ্যুত বগিটি উদ্ধার করে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার একই সময়ে এই ট্রেনের একই বগি কয়েকশ’ মিটারের ব্যবধানে লাইনচ্যুত হয়েছিল। এতেও সাড়ে ৩ ঘন্টা ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা-ভৈরব-চট্রগ্রাম রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রেন লাইনচ্যুতির ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ট্রেন লাইনচ্যুত: খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক