যমুনায় পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। দুই সপ্তাহে এ অঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়িসহ জায়গা জমি ও বহু গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার পর অসংখ্য স্থাপনা এখন হুমকির মুখে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, উজানের ঢলের পানিতে ও প্রবল বর্ষণে যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই এলাকার খাসপুকুরিয়া থেকে ভুতের মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অনেক সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।
এর আগে ভাঙনে অর্ধশত বসতভিটা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মাদরাসা, বাজার ও কয়েক’শ একর জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় ভূক্তভোগীরা বলছেন, জুন মাসের শেষ দিক থেকে এ অঞ্চলে ভাঙন শুরু হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিনানই সেতুটি অর্ধেক অংশের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ সেতুটি যেকোনো সময় নদীগর্ভে বিলীন হতে পারে। এ ভাঙন প্রতিরোধে দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এ বাঁধ নির্মাণ না হলে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজারসহ বহু ঘরবাড়ি নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পড়ুন: টাঙ্গন নদী থেকে বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার
যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। ইতোমধ্যেই নিম্নাঞ্চলের তিল কাউন পাটসহ বিভিন্ন ফসল ডুবে গেছে।
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক হোসেন বলেন, চৌহালীর ভাঙন রোধে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে। ইতোমধ্যেই বিনানই বাজার ভাঙন রোধ হয়েছে এবং চরনাকালিয়া ভাঙ্গন রোধে কাজ চলছে।
টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (চৌহালীর দায়িত্বপ্রাপ্ত) সিরাজুল ইসলাম বলেন, চৌহালীর ভাঙনের কোন শেষ নেই। কোথা থেকে কোথায় ভাঙছে সে বিষয়ে হিসেব করাও সম্ভব হচ্ছে না। তবে এ ভাঙন রোধে সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করা হচ্ছে।
পড়ুন: বন্যার আশঙ্কা: কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত
বাড়ছে পানি, ফরিদপুরে নদী ভাঙন শুরু
এছাড়া নদী তীর সংরক্ষণ বাঁধ প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।