কুড়িগ্রামে কয়েকদিনের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে ধরলা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমারসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, এ জেলায় নদ-নদীর তীরবর্তী নিচু এলাকাগুলো ইতোমধ্যেই প্লাবিত হয়েছে। ফলে বিঘ্নিত হয়ে পড়েছে অনেক এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত গৃহিণীরা এখন কৃষাণী
এসব এলাকার সবজি খেত তলিয়ে গেছে। এছাড়া পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তা নদীর দুই পাড় জুড়ে ভাঙন শুরু হয়েছে। অন্যান্য নদ-নদীর ভাঙন রোধে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ চলমান থাকলেও তিস্তা নদীর স্থায়ী ভাঙনরোধে সরকারের মহাপরিকল্পনার কারণে এখানে কোন প্রকল্প নেই। ফলে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে তিস্তার দুইপাড়ে বিভিন্ন স্পটে ভাঙন শুরু হয়েছে।
এদিকে, উজানের পানি আর বৃষ্টির ফলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার মমিন মিয়া জানান, ধরলার পানি বৃদ্ধির ফলে তার পটলের খেত পানিতে তলিয়ে গেছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি হতে থাকলে আগামী দু-একদিনের মধ্যে নিচু এলাকার ঘর-বাড়িতে পানি ঢুকে যাবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানান, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে ফেসবুক
এছাড়াও তিস্তা নদীর ভাঙন প্রবণ এলাকা পরিদর্শন করে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।