দফায় দফায় বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এখনও কাটিয়ে উঠতে না পারলেও চতুর্থ দফায় যমুনায় পানি বাড়ায় বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। ইতোমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনায় ৩৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে এবং কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, কয়েক দিন ধরে প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার দিবগত রাতভর প্রবল বর্ষণে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক স্থান ইতোমধ্যে প্লাবিত হয়েছে। অনেক স্থানে তলিয়ে গেছে রোপা আমন ধানের জমি, যোগ করেন তিনি।
এদিকে, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা বন্যায় ওই অঞ্চলের রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। অনেক পরিবার এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্তরা বলছেন, ফের বন্যা হলে বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের অসহায় মানুষের দুঃখ-দুর্দশা আরও বাড়বে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম রওশন কবীর বলেন, যমুনা নদীতে আবারও পানি দ্রুত বাড়ছে। বন্যার পূর্ব প্রস্তুতির হিসেবে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।