যশোরের অভয়নগরে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ ফেলে রেখে স্বামীর পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার (৬ নভেম্বর) উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রামের ইসলামপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম চন্দনা রায় (৩২) এবং স্বামীর নাম মন্টু মণ্ডল। তাদের এক মেয়ে ও এক সৎ ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন: নাটোরের বড়াল নদীতে নিখোঁজ বাগানকর্মীর লাশ উদ্ধার
নিহতের মেয়ে কনা মণ্ডল জানায়, ঘটনার দিন আমি মণিরামপুর উপজেলায় মামার বাড়ি ছিলাম। সকালে খবর পেয়ে এসে দেখি মায়ের লাশ পড়ে আছে, বাবা বাড়িতে নেই। আমার মাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঘরের বারন্দায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল। আমি আমার মায়ের খুনির ফাঁসি দাবি করছি।
নিহতের সৎ ছেলে সজীব মণ্ডল জানায়, শনিবার রাতে বাবার সঙ্গে মায়ের ঝগড়া হয়। রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মা ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়েন। আমি আর বাবা ঘরের ভেতরে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে উঠে বারন্দায় আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় মায়ের লাশ ঝুলতে দেখা যায়। এসময় আমি আর বাবা মায়ের লাশ নামিয়ে খাটের ওপর রাখি।
পরে বাবা বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সকালে জানতে পারি ইসলামপাড়ায় রফিক গাজীর ভাড়াটিয়া আত্মহত্যা করেছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি লাশ খাটের উপর চাদর দিয়ে ঢাকা রয়েছে। এসময় আত্মীয়রা থাকলেও নিহতের স্বামী মন্টু বাড়িতে ছিলেন না। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম শামীম হাসান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে শয়ন কক্ষ থেকে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদে স্পিডবোট ও নৌকার সংঘর্ষ: নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার