তারা হলেন- মনিরামপুর উপজেলার লাউড়ী গ্রামের লিয়াকত আলী বিশ্বাসের ছেলে হাসান আলী (২৬), খুলনার কয়রা উপজেলার অর্জুনপুর গ্রামের চান মিয়ার ছেলে হাবিব (২৮) ও একই এলাকার মৃত আফিল উদ্দিন শেখের ছেলে ফরিদ (২২)।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই কিশোরী তার দুই বছর বয়সের ভাগ্নেকে নিয়ে নওয়াপাড়া পৌরসভার গুয়াখোলা গ্রামে বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে পৈত্রিক ভাড়া বাড়িতে যাওয়ার সময় ধর্ষণের শিকার হন।
ওই কিশোরী বাড়ি যাওয়ার পথে লম্পট হাসান আলী ও হাবিব গতিরোধ করে রাস্তার পাশের একটি বাগানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে নিয়ে যায়। এ সময় হাসান আলী ও হাবিব তাদের সহযোগী ফরিদকে ঘটনাস্থলে ডাকে। ফরিদ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে ওই কিশোরীর কোলের ভাগ্নেকে ফরিদ তার সাথে নিয়ে একটু দূরে অবস্থান করে।
এ সময় প্রথমে হাসান আলী ও পরে হাবিব কিশোরীকে ধর্ষণ করে। কিশোরীর চিৎকারে হাসান আলী ও হাবিব পালিয়ে যায়। পরে ওই কিশোরী তার কোলের ভাগ্নেকে খোঁজাখুঁজি করলে ফরিদ কিশোরীর ভাগ্নেকে রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।
পরে কিশোরী বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি পরিবারের সদস্যদের জানালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা করা হয়।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় নওয়াপাড়া পৌরসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞসাবাদে তারা ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছে।