যশোরে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার ‘তাকে হত্যা করা হয়েছে’ দাবি করলেও যে বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, তারা বলছে, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
সোমবার (০৮ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সদর উপজেলার ইছালি ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে ঘটে এই ঘটনা।
স্থানীয়রা জানান, নিহত কিশোরী ওই গ্রামের এক প্রবাসীর মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। একই গ্রামের নাজমুল নামের এক যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জের ধরেই এই ঘটনা ঘটে। নাজমুলের বাড়ির উঠানের আম গাছ থেকেই ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়েটির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। তারা জানান, নাজমুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রেখেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ছেলেটি তাদের সম্পর্ক প্রত্যাখ্যান করলে সোমবার রাতে তার বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে যায় ওই কিশোরী।
তাদের দাবি, ওই বাড়িতে যাওয়ার পর নাজমুল ও তার পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে মারপিট করে হত্যা করে এবং ঘটনা ধামাচাপা দিতে গামছা ও মেয়েটির গায়ে থাকা ওড়না পেঁচিয়ে মরদেহ গাছে ঝুলিয়ে দেয়।
তবে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নাজমুল ও তার বাড়ির সদস্যদের দাবি, মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন জানিয়েছেন, প্রাথমিকভাবে প্রেম-সংক্রান্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এই মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা, তা বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।