যৌতুকের দাবিতে স্বামী এবং শাশুড়ির নির্যাতনে ১৬ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জালড়ে মঙ্গলবার সকালে মারা গেছেন মিম।
জানা গেছে, তাসমিম মিম কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কামিরহাটের মহিবুল আলমের মেয়ে। তার স্বামী এজাজ আহমেদ বাপ্পি একই জেলার দৌলতপুর উপজেলার তারাগুনিয়া এলাকার জিন্না মোল্লার ছেলে।
মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ছিল দুজনের চতুর্থ বিবাহ বার্ষিকী। ২০১৬ সালে বিয়ের পর স্বামী-সংসার নিয়ে মিমের দিনকাল বেশ ভালোই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই এরই মধ্যে স্বামী বাপ্পি ও শাশুড়ি কোহিনুর যৌতুক হিসেবে মোটরসাইকেল দাবি করেন।
এতে গৃহবধূ মিমকে উঠতে বসতেই প্রায় প্রতিদিনই নানা ধরনের কটু কথা শুনতে হত।
এক পর্যায়ে ১ সেপ্টেম্বর স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২ সেপ্টেম্বর তাকে চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
মিমকে নির্যাতনের বিষয়ে কয়েকদিন আগে দৌলতপুর থানায় মিমের বাবা মহিবুল আলমের পক্ষে মিমের খালাতো ভাই অভিযোগপত্র দিতে গেলে অভিযোগ না নিয়ে ফেরত দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মিমের বাবা মহিবুল আলম বলেন, ‘থানায় অভিযোগ দিতে গেলে প্রথমে অভিযোগ নেননি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (বর্তমানে বদলি) নিশিকান্ত সরকার। আমাদের পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ফোন দিলে তারপর অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করা হয়।’
এ ব্যাপারে মিমের স্বামী অভিযুক্ত এজাজ আহমেদ বাপ্পির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কালই যোগদান করেছি। মিমের পরিবারকে আবারও অভিযোগ দিতে বলেছি। মিমের পরিবার অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবেন।’