মঙ্গলবার তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসন। পরে তাবলীগ জামায়াতের উপজেলা শাখার মাকরাজে (খানকা) তাদের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়। বর্তমানে তারা সেখানে নিরাপদে রয়েছেন।
কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিরা হলেন- আব্দুল আজম, আব্দুল মানাব, আব্দুর রশিদ, আব্দুল্লাহ, মো. নিশাদ, আব্দুর রশিদ ও ইবরার হোসেন। তাদের সকলের বাড়ি ভারতের বিহার প্রদেশে।
জানা গেছে, এ বছরের জানুয়ারিতে ভারতের বিহার থেকে টঙ্গীর ইজতেমায় এসে যোগ দেন তাবলীগের এই মুসল্লিরা। ইজতেমার আখেরি মোনাজাত শেষে বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েন তারা। দেশের বিভিন্ন স্থান সফর করে গত মাসে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় আসেন। এরপর থেকে রাঙ্গাবালী উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে তারা অবস্থান করছিল।
খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকালে রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলী আহম্মেদ সেখানে গিয়ে তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেন। পরে তাবলীগ জামায়াতের স্থানীয় সাথীরা উপজেলা শাখার মাকরাজে হোম কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেন।
তাবলীগ জামায়াতের রাঙ্গাবালী উপজেলা আমীর আহম্মেদ ফয়সাল জানান, তাবলীগের মুসল্লিরা টঙ্গী ইজতেমার মোনাজাত শেষে পটুয়াখালী জেলায় এসেছিল। এতদিন তারা রাঙ্গাবালী উপজেলার বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরআন্ডার একটি মসজিদে ছিলেন। মঙ্গলবার সেখান থেকে আমাদের মাকরাজে আসেন। পরে প্রশাসনের লোকেরা এসে এখানে হোম কোয়ারেন্টাইনের ঘোষণা দিয়ে যান এবং কোনোভাবেই ঘরের বাইরে বের না হওয়ার নির্দেশ দেন। তারা বর্তমানে নিরাপদে ও সুন্দর পরিবেশে আছেন।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান জানান, ভারতীয় তাবলীগ জামায়াতের লোকজন রাঙ্গাবালীতে আছেন এমন খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাদের সাথে কেউকে সাক্ষাত করতে দেয়া হচ্ছে না। বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে তারা নিরাপদে রয়েছেন।