দেবীর বন্দনায় মহা ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে সোমবার (১১ অক্টোবর) রাঙ্গামাটির ৪১ পূজামণ্ডপে পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন শুরু হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে গত বছর আনুষ্ঠানিকতা কিছু কম হলেও এ বছর পরিস্থিতি ভালো হওয়ায় সনাতন সম্প্রদায়ের মাঝে উৎসবের আমেজ লক্ষ্য করা গেছে। আর দূর্গোৎসবকে আনন্দমুখর করে তুলতে রাঙ্গামাটি বিভিন্ন পূজামণ্ডপগুলো বর্ণাঢ্য সাজে সাজানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড সেনিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকাল থেকে মন্দিরগুলোতে পুরোহিতরা পূজার শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি শেষ করেছেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা: বাগরেহাটে ৬৩৩ মণ্ডপে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে
এদিকে, গত রবিবার (১০ অক্টোবর) সারাদেশের পূজামণ্ডপগুলোতে মহাপঞ্চমীর আনুষ্ঠানিকতা দুর্গা দেবীর বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শারদীয় দুর্গোৎসবের প্রাক্কালে এই বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণায়নের নিদ্রিত দেবী দুর্গার নিদ্রা ভাঙার জন্য বন্দনাপূজা করা হয়। মণ্ডপে-মন্দিরে পঞ্চমীতে সায়ংকালে তথা সন্ধ্যায় এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রী শ্রী গীতাশ্রম মন্দিরের পুরোহিত পুলক চক্রবর্তী জানান, ১১ অক্টোবর (সোমবার) মহাষষ্ঠী, ১২ অক্টোবর (মঙ্গলবার) মহা সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর (বুধবার) মহা অষ্টমী, ১৪ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মহা নবমী ও ১৫ অক্টোবর (শুক্রবার) মহা দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে সনাতন সম্প্রদায়ের এই শারদোৎসবের শেষ হবে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় ৭১২ মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি
বিশুদ্ধ পঞ্জিকা অনুযায়ী, দেবী দুর্গা এবার আসছেন ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় চড়ে। ঘোড়া এমন একটি বাহন যা যুদ্ধের সময়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘোড়ার পায়ের শব্দও যুদ্ধেরই ইঙ্গিত দেয়। তাই পঞ্জিকা মতেই ঘোটকে আগমন মানেই ছত্রভঙ্গের কথাই বলা হয়। অর্থাৎ এই সময়ে যুদ্ধ, অশান্তি, হানাহানির সম্ভাবনা থাকে।
পঞ্জিকা বলছে, মা দুর্গার এবার দোলায় গমন। দোলায় গমনের ফলাফল হল মড়ক লাগা।
রাঙ্গামাটি জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক স্বপন কান্তি মহাজন জানান, রাঙ্গামাটির পূজা মণ্ডপগুলোতে সব ধরনের প্রস্তুতি এর মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আর দর্শনার্থীরা যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাক্স পড়ে পূজামণ্ডপে আসেন তার জন্য প্রত্যেকটি পূজামণ্ডপে যারা দায়িত্বে থাকবে তাদের নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ৬ দিন বন্ধ
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফ আহমেদ জানান, রাঙ্গামাটি পূজা উদযাপন কমিটির সাথে সমন্বয় করে রাঙ্গামাটির ৪১ পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যাতে করে কোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। আশা করি শারদীয়া দূর্গোৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে সম্পন্ন হবে।