উপজেলার কুমরপুর গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উপজেলার রাণীনগর গ্রামের দগ্ধ মাহবুবা খাতুনের মা সেফালি বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে মুরাদ এসিড ছুঁড়ে তার স্ত্রী মাহবুবার মুখ ঝলসে দেয়। এসিড ছুঁড়ে পালানোর সময় তিনি জামাই মুরাদকে জানালার পাশে দেখেছেন।
এ ঘটনায় ভোরে মাহবুবাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি এবং মুরাদকে একমাত্র আসামি করে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন সেফালি বেগম।
র্যাব-৫ রাজশাহীর কোম্পানি অধিনায়ক এটিএম মাইনুল ইসলাম জানান, মুরাদকে গ্রেপ্তারের পর গোদাগাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খাইরুল ইসলাম জানান, দেড় বছর আগে ভালোবেসে মাহবুবাকে বিয়ে করেন মুরাদ। পরে বনিবনা না হওয়ায় মাহবুবা আর সংসার করতে চাননি। তিনি গত চার মাস ধরে বাবার বাড়িতেই থাকছেন। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর এসিড নিক্ষেপ করেন মুরাদ।
রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আফরোজা নাজনীন বলেন, ‘মাহবুবার মুখের বাম অংশ পুরোটা পুড়ে গেছে। এছাড়া গলা ও বাম হাতের কনুই পুড়েছে। তবে তিনি এখন শঙ্কামুক্ত এবং সুস্থ হয়ে উঠতে কিছু দিন সময় লাগবে।