একই সাথে বোর্ডের আরও ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ঠিকাদারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সংস্থাটি।
বুধবার তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করেন দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল-আমিন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে বোর্ডের বিভিন্ন স্থাপনা মেরামত, সংস্কার ও নির্মাণের কাজ না করে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- উপসচিব (ভাণ্ডার) মোছা. সেলিনা পারভীন (৫৩), নিরাপত্তা অফিসার গোলাম ছরওয়ার (৫১), ঠিকাদার শওকত আলী (৫৪), ঠিকাদার ইসরাফিল হোসেন (৩৩), উপসচিব (ভান্ডার) নেসার উদ্দিন আহম্মেদ (৫২), উপবিদ্যালয় পরিদর্শক মানিক চন্দ্র সেন (৪৮), সহকারী প্রোগ্রামার ফরমান আলী (৪৬), সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জহিরুল হক (৫১), মসজিদের ইমাম আবুল হাশেম মো. রহমতুল্লাহ (৪৫), ডাটা এন্ট্রি/কন্ট্রোল অপারেটর আজহার আলী (৩৬), ঠিকাদার রওশন রেজভী (আলম) (৪৩) ও ঠিকাদার রিপন রায় (কুশ) (৩৫)।
দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলাটি দুদক কার্যালয়ে করা হয়। মামলায় ৯টি অভিযোগ আনা হয়েছে।
তিনি বলেন, আসামিরা ব্যক্তিতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য একে অপরের সহায়তায় ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৯টি কাজের নামে ২০১৫-২০১৬ হতে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৮৩১ টাকা আত্মসাত করে।
এর মধ্যে রয়েছে নগরীর বেলদারপাড়ার চেয়ারম্যানের অফিস-কাম বাসভবনের সংস্কার কাজ, মোটরসাইকেল এবং জিপগাড়ি রাখার গ্যারেজ নির্মাণ, পুরাতন ভবনের ১ম ও ২য় তলার রঙ করা, পুরাতন ভবনের ৩য় ও ৪র্থ তলার রঙ করা এবং পুরাতন ভবনের পূর্ব, দক্ষিণ ও পশ্চিম পাশের ড্রেন নির্মাণ কাজ।
এছাড়াও উপকরণ শাখা ও কর্মচারী ইউনিয়ন কক্ষের মূল রাস্তা নির্মাণ কাজ, গ্যারেজের সামনে রাস্তা উচু করার কাজ, প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা পাথর সিমেন্ট দ্বারা উচু করার কাজ, পুরাতন ভবনের স্কুল কলেজ নিবন্ধন শাখার পূর্ব প্রাচীর সংলগ্ন পূর্ব ও দক্ষিণ প্রান্ত এবং ভবন সংলগ্ন পূর্ব দক্ষণ পাশে ভরাটসহ সাপোর্ট ওয়াল দ্বারা সোলিং রাস্তা করার কাজ।