গাইবান্ধার বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশনের পিডাব্লিউ আই অফিসের স্টোর থেকে ৬০ টন লোহার ফিস প্লেট গায়েব হবার ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বোনারপাড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি )তাপস পন্ডিত জানান, বোনাপাড়া রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ একটি সুরক্ষিত এলাকা। এখানে রাত দিন পুলিশ ও রেলওয়ে বিভাগের লোকজন প্রহরা থাকে। রেল স্টেশনের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একটি সুরক্ষিত স্টোর থেকে ৬০ টন ওজনের ৭ হাজার (রেল লাইনের ব্যবহারের জন্য) ফিস প্লেট গায়েব হয়ে গেল তা সত্যি রহস্যজনক।
আরও পড়ুনঃ কুষ্টিয়ায় রেলওয়ের হাসপাতাল গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রভাবশালীদের মার্কেট নির্মাণ
বোনারপাড়া রেল স্টেশন ম্যানেজার খলিলুর রহমান জানান, ঊর্ধ্বতন সহকারী প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত ছিলেন আকবর আলী খান। কর্মরত থাকাকালীন তিনি রেলওয়ে প্রকৌশল বিভাগের স্টোর থেকে অনেক কিছু গোপনে বিক্রি করে দেন। সম্প্রতি তিনি বদলি হয়ে যান। তার বদলি হয়ে যাওয়ার সময় দায়িত্ব গ্রহণ করেন সহকারী স্টোর কিপার দীপক কুমার সিংহ। আর অতিরিক্ত দায়িত্বে আসেন বগুড়া থেকে ঊর্ধ্বতন উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মাজেদ। তিনি শুধুমাত্র বেতন বিলের কাজে বোনারপাড়া এলেও রাতে থাকেননি।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আব্দুল মাজেদ আজ বগুড়া থেকে বোনারপাড়ায় আসেন এবং স্টোর খুলে তাতে মালামাল কম থাকার বিষয়ে সন্দেহ হলে তিনি ফিস প্লেট গুনতে থাকেন। গণনা করার পর তিনি ওই স্টোরে ৭ হাজার পিস প্লেট কম দেখতে পান।
আরও পড়ুনঃ কোরিয়া থেকে ১৫০টি মিটারগেজ কোচ কিনছে রেলওয়ে
এ ব্যাপারে আব্দুল মাজেদ বলেন ‘,আমি তো অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। আমার আগে যিনি ছিলেন হয়তো তার সময়ে এসব গায়েব হতে পারে।’
তিনি বলেন, রেলের স্টোর থেকে এতো বিপুল পরিমাণ লোহার ফিস প্লেট গায়েব হওয়ার বিষয়টি এ মুহূর্তে রহস্যজনক মনে হচ্ছে। কারণ পুলিশ ও আনছার সার্বক্ষণিক পাহাড়ায় থাকেন। তারপরও অন্যকেউ জড়িত থাকতে পারে। আগামীকাল স্টোরের দায়িত্বে থাকা দীপক কুমার বাদী হয়ে বোনারপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করবেন।
এদিকে রেলওয়ে বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের ও বগুড়ার বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সাইদুর রহমানকে প্রধান করে একটি রেলওয়ে বিভাগের তদন্ত টীম গঠন করা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।