সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আঞ্চলিক কার্যালয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেনl
কবিতা খানম বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের হাতে যাতে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র না পৌঁছে সে ব্যাপারে আমাদের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছেন, ডকুমেন্টের ভিত্তিতে অনেক সময় শনাক্ত করা যায় না। ভোটার হতে আগ্রহীদের সঙ্গে সামনাসামনি যদি কথা বলা যায় তবে বাংলাদেশি নাগরিক কিনা সেটি শনাক্ত করা সম্ভব।’
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কর্মকর্তারা খুবই সতর্ক। ইতিমধ্যেই কিছু রোহিঙ্গাকে শনাক্তও করেছেন তারা।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নেয়া আছে। সেই কপি আমরা নিয়ে এসেছি। নির্বাচন কমিশনেও বায়োমেট্রিক নিচ্ছি। ভোটার তালিকা করার আগে চট্টগ্রামের বিশেষ এলাকার ক্রসম্যাচিংয়ে যদি মিলে যায় তাহলে তারা তো শনাক্ত হয়ে যাবে।’
ইসি কবিতা খানম বলেন, রোহিঙ্গারা যদি তালিকাভুক্ত হয়ে থাকে, তবে তাদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা দিয়েছি। এটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু গ্রেপ্তারও হয়েছে।
২০১৪ সালে ল্যাপটপ হারানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তখন মামলা হয়েছে। তদন্ত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের তদন্তের মাধ্যমে যদি দেখা যায় কেউ জড়িত তবে কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় অ্যাকশন আছে। যদি বাইরের কেউ হয় তবে ফৌজদারি অ্যাকশন হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অ্যাকশনের বাইরে কিন্তু ফৌজদারি অ্যাকশনের সুযোগ আছে। তদন্তে যদি দোষী হয়, তবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান, কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, ২১ উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তারা।