লকডাউনের ঘোষণার পরে থেকে শিমুলিয়ায় ফেরিঘাটে মানুষের ঢল নেমেছে। দলে দলে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন হাজারও মানুষ ।
এ দিকে, যাত্রী চাপের কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে ১৬ ফেরির সব কটিই চলাচল করছে।
আরও পড়ুন: দেশব্যাপী লকডাউনে মাঠে থাকতে পারে সেনাবাহিনী
সংশ্লিষ্টরা জানান, পণ্যবাহী ট্রাক ও জরুরি পরিসেবায় যানবাহনের পাশাপাশি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করেই যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। তারপরও দুই পাড়েই শতশত যান পারাপারের অপেক্ষায়। রাজধানী ছাড়ার পাশাপাশি অনেকে আবার ঢাকাও ফিরছেন। এ ক্ষেত্রে দুই দিকেই চাপ বেড়েছে।
অপরদিকে, বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট থাকায় ঘাটে আসার আগেই যানবাহন ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তারপরও শনিবার চাপ কমানো যাচ্ছে না। লঞ্চ, স্পিডবোট ও ট্রলার বন্ধ থাকায় ফেরি করে যাত্রীরা গাদাগাদি করে পারাপার হচ্ছে।
তবে গণপরিবহন না থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে গন্তব্যে যেতে পরিবার পরিজন নিয়ে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছে।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে সারাদেশে ৭ দিনের ‘কঠোর লকডাউন’
এছাড়া ৩ নম্বর পন্টুন সংযোগ সড়ক বর্ষার পানি জমে দুর্ভোগ বেড়েছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের ম্যানেজার মোহাম্মদ ফয়সাল জানান, ভরা বর্ষার কারণে পদ্মায় পানি বেড়ে ঘাট পানি। চাপ বেড়ে যাওয়ায় সবগুলো ফেরিই চলছে। তারপরও অপেক্ষারত যানের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে।
তিনি জানান, রাজধানী থেকে যেমন লোকজন ঘরে ফিরছে, আবার নানা প্রয়োজনে জরুরি কাজ সারতে রাজধানীতেও যাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। তাই দুই দিকেই চাপ বেড়েছে।