অ্যানথ্রাক্স আতঙ্কে দিন কাটছে নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলুয়া গ্রামের অর্ধশত পরিবারের। অসুস্থ্য একটি গরু জবাই করে মাংস বিতরণের পর গ্রামের বেশ কয়েকজন নারী পুরুষের শরীরে দেখা দিয়েছে অ্যানথ্রাক্সের মত উপসর্গ। রোগটির বিস্তার রোধে আক্রান্ত গ্রামসহ চারিদিকের পাঁচটি গ্রামে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি।
গত ৭ জুলাই নাটোরের লালপুর উপজেলার দেলূয়া গ্রামের কৃষক মইদুল ইসলামের একটি গাভি অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত ওই গাভিটি জবাই করে মাংস বিতরণ করা হয় আত্মীয় স্বজন ও প্রতিবেশিদের মাঝে। অবশিষ্ট মাংস বিক্রি করে দেয়া হয়। এরপর থেকেই ওই মাংস কাটা ও নাড়াচাড়ার সঙ্গে জড়িতদের হাতে পায়ে ও মুখে ফোসকা পড়া ঘায়ের সৃষ্টি হতে থাকে। আতঙ্ক ভর করে মানুষের মাঝে। আক্রান্তরা ছুটে যান হাসপাতালে। চিকিৎসকের পরামর্শে আক্রান্ত গৃহবধূ মনোয়ারা বেগম, কৃষক শাখাওয়াত হোসেন, গৃহবধূ বিলকিস বেগম, কৃষক মোহন আলী, হাবিবুর রহমান ভোলা ও আফতাব হোসেন নিজ নিজ বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের বয়স ৩০ থেকে ৪৫ এর মধ্যে। গরু কাটার পর থেকে এ রোগ দেখা দিলেও রোগটি সম্পর্কে নিশ্চিত নন বলে জানান গাভীর মালিক মহিদুল ইসলাম।