লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ভোগান্তি এখনো কমেনি তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের মানুষের।
কয়েক দিন ধরে তিস্তা ব্যারাজ এলাকায় শনিবার সকাল ৬টায় বিপৎসীমার ৫১ সেন্টিমিটার এবং সকাল ৯টায় আরও কমে তা ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় বিদ্যুৎহীন সিলেটের ১২ হাজার গ্রাহক
গত বুধবার সকালে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তা তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে স্বল্প বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে শুক্রবার সকাল থেকে পানি কমে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এখনো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
সদর উপজেলার গোকুন্ডা, কালমাটি, আদিতমারী উপজেলার গোবর্ধন, চর এলাকা ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়ি-ঘরে এখনো পানি রয়েছে। পানিতে ডুবে আছে আমন ধানের বীজতলাসহ অনেক ফসলি জমি।
এদিকে নদীর চর ও নিম্নাঞ্চলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রাস্তা জেগে উঠলেও জমে আছে কাদামাটি। ফলে এখনো যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়নি।
কিছুটা উঁচু বাড়িঘর থেকে পানি নেমে গেলেও ঘরে বাইরে জমে আছে কাদামাটি। ফলে তাদের চলাচলে কষ্ট হচ্ছে। এখনো অনেক বাড়িতে নলকূপ, টয়লেট পানিতে তলিয়ে আছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় দেশের উত্তরাঞ্চলের নদীসমূহের পানি সমতলে হ্রাস পেতে পারে।
এছাড়া আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টায় পানি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানান লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী।