মুন্সীগঞ্জ, ০১ আগস্ট (ইউএনবি)- গার্মেন্টসহ বিভিন্ন কলকারখানার শ্রমিকদের কর্মস্থলে ফেরার সুবিধার্থে সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণার পরও শিমুলিয়া ঘাটে মানুষের ভিড় অব্যাহত রয়েছে। তবে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে লঞ্চ চলাচল করার কথা থাকলেও তা কেউ মানছেন না। বাসে অর্ধেক আসনের জায়গায় পূর্ণ সংখ্যক আসনেই যাত্রী নেয়া হচ্ছে। ফলে বাসে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই যাত্রীরা চলাচল করছেন।
অন্যদিকে, শিমুলিয়া লঞ্চ টার্মিনাল লোকারণ্য, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির বালাই ছিল না। একজন আরেকজনের গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছেন লঞ্চে ওঠার অপেক্ষায় আছেন। লঞ্চগুলোও মানছে না নিয়ম। শতভাগ আসনে যাত্রী নিয়ে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছেন তারা। কোনো কোনো লঞ্চ অতিরিক্ত যাত্রী উঠাচ্ছে। ৮৭টি লঞ্চের মধ্যে মাত্র ২৬টি চালু রয়েছে।
লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন ও কমসংখ্যক লঞ্চ চলাচলের কারণ হিসেবে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের লঞ্চ মালিক সেমি সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন খান জানান, সরকারের হঠাৎ লঞ্চ চলাচলের ঘোষণায় চালকেরা আসতে পারেননি। তিনি আরও জানান, রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চালিয়ে তাদের পোষাবে না। তাই অনেক লঞ্চমালিক এত অল্প সময়ের জন্য লঞ্চ চালাতে সম্মত হননি। তবে পরে সময় বাড়ানোর পর আরও কিছু লঞ্চ চালু হয়।
আরও পড়ুন: যাত্রী নিয়ে নাটোর ছাড়ছে ঢাকাগামী বাস
রবিবার সকাল ৭টায় শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশমুখে দেখা যায়, চন্দ্রেরবাড়ি থেকে শিমুলিয়া ঘাট পর্যন্ত ২ কিলোমিটার জুড়ে যাত্রীবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ির জটলা। কিছুতেই গাড়ি নড়ছিল না।
বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, এ নৌরুটের বহরে থাকা ১৮টি ফেরির মধ্যে ৮টি চালু রয়েছে। লঞ্চ চালু থাকায় ফেরিতে যাত্রী চাপ কিছুটা কমলেও হাজার হাজার যাত্রী গাদাগাদি করেই ফেরিতে চেপে পদ্মা পার হচ্ছে।
অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের কারণে চার লঞ্চকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাউসার হামিদ জানান, লঞ্চগুলোর ৫০ শতাংশ যাত্রী বহনের কথা থাকলেও কয়েক গুণ বেশি যাত্রী বহন করায় এই জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী