গার্মেন্টসসহ শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণার পর কঠোর বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ ঢাকা, চট্টগ্রামের দিকে ছুটছে। শনিবার সকাল থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার জন্য ভোলা- লক্ষ্মীপুর নৌরুটের ইলিশা ফেরিঘাটে শ্রমজীবী মানুষদের ভিড় করতে দেখা যায়।
এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়। ফেরিতে ছিলনা কোন স্বাস্থ্যবিধির বালাই। প্রচণ্ড গরমে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ পাটুরিয়াঘাট দিয়ে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ভোলা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে প্রথম ফেরি ছেড়ে গেলেও কয়েক হাজার যাত্রী কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য ইলিশা ফেরিঘাটে অপেক্ষা করে পরের ফেরির অপেক্ষায়।
কর্মস্থলে ফেরা শ্রমজীবীদের একজন জানান, হঠাৎ করে গার্মেন্টস শিল্প কলকারখানা খুলে দেয়ায় তারা চরম বিপাকে পড়েছেন। তাদের অফিস থেকে আগামীকাল কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অথচ লঞ্চ থেকে শুরু করে সকল গণপরিবহন বন্ধ। একদিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাদের ১০ দিনের বেতন কাটা হয়। তাই বিপাকে পড়ে চরম দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে পদে পদে বাধা উপেক্ষা করে নিয়ে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে দ্বীপ জেলা ভোলা থেকে রওনা দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন: বিনা বাধায় ফেরিতে যাত্রী আসছে পাটুরিয়াঘাটে
তাদের অভিযোগ ৫ আগষ্ট পর্যন্ত লকডাউন ছিল। তারপর গণপরিবহন খুলে দেয়ার পর কল-কারখানা গার্মেন্টস খোলা হলে তাদের এই ভোগান্তি পোহাতে হতো না।
এদিকে ফেরিতে উঠতে না পেরে অনেকে আবার উত্তাল মেঘনা পাড়ি দিয়ে ট্রলারে লক্ষ্মীপুর যাওয়ার চেষ্টা করে। তবে কোস্টগার্ড ও পুলিশের বাধার মুখে পড়ে যাত্রীরা। এ সময় কয়েকটি যাত্রীবাহী ট্রলার আটক করা হয়।