জেলার নয়টি উপজেলাতেই ভোরে হঠাৎ করে ঝড়ো হাওয়াসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। প্রায় ১৫ মিনিটের বৃষ্টিতে শতাধিক গ্রামে আবাদি ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, গত বছর পেঁয়াজ চাষিরা দাম কম পাওয়ায় এ বছর তা পুষিয়ে নিয়ে পুনরায় পণ্যটির আবাদ করেছিলেন। আর বাম্পার ফলন হওয়া পেঁয়াজ মাত্র ১২-১৫ দিন পর ঘরে তোলার স্বপ্ন দেখছিলেন তারা। সে স্বপ্নভঙ্গ করল শিলাবৃষ্টি।
নগরকান্দার লস্করদিয়া ইউনিয়নের জুঙ্গুরদী গ্রামের কৃষক আলমগীর মোল্যা বলেন, অসময়ের শিলাবৃষ্টিতে তার সাড়ে তিন বিঘা জমির পেঁয়াজ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। এতে তার প্রায় চার লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শহীদনগর ইউনিয়নের আরেক কৃষক ওবায়দুর জানান, তার পেঁয়াজের আবাদ সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়ে গেছে।
নগরকান্দা পৌরসভার কৃষক নজির মাতুব্বর বলেন, ‘আমার তিন বিঘা জমির মসুরি, কলাই সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
ফরিদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী জানান, নগরকান্দা ও সালথা উপজেলাতে প্রাথমিক তথ্যমতে ৫০-৬০ হেক্টর জমির পেঁয়াজের ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও অন্য উপজেলাতে বেশ কিছু পেঁয়াজ ও মসুরিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের চরডুবাইল গ্রামের বরদউদ্দিনের ছেলে রুহুল আমিন (৩৫) বজ্রপাতে মারা গেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার বলেন, রুহুল ক্ষেতে কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।