সোমবার দুপুর ১২টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবেই ধারণা করা হয়েছিল শিশু তুহিনের পরিবারই এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। গত আড়াই মাসে এ হত্যাকাণ্ডের বিভিন্ন আলামত ও বিশেজ্ঞদের প্রতিবেদন এবং পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির, তিন চাচা জমশেদ, শাহরিয়ার ও মছব্বির এবং চাচাত ভাই শাহারুলের হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় সোমবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, তুহিনের বাবা ও একই গ্রামের আনোয়ার মেম্বারের মধ্যে বিরোধ ছিল। পূর্বের একটি হত্যাকাণ্ডের মামলা থেকে বাঁচতে এবং প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বাবার পরিকল্পনায় চাচা ও চাচাত ভাই মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। তারা মানুষের সমবেদনা পেতেই নৃশংসভাবে তুহিনের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গ কেটে হত্যা করে।
পুরিশের এ কর্মকর্তা জানান, তুহিনের চাচাত ভাই শাহারুলের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হায়াতুন্নবী ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর রাতে দিরাইয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। ঘাতকরা তার লাশ রাস্তার পাশের একটি গাছের সাথে ঝুলিয়ে রাখে।
শিশু তুহিনের শরীরজুড়ে ছিল ধারাল অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। পেটে দুটি ছুরি ঢোকানো অবস্থায় ছিল, দুটি কান কাটা ছিল এমনকি গোপনাঙ্গও কেটে ফেলা ছিল।
হত্যার ঘটনায় ১৫ অক্টোবর ভোরে তুহিনের মা বাদী হয়ে ১০ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তুহিনের বাবাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর তুহিনের বাবা, তিন চাচা ও চাচাত ভাইকে কয়েক দফা রিমান্ডে নেয়া হয়।