শেরপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ভাতিজাকে দুই হাত বেঁধে কোমর পর্যন্ত মাটির গর্তে পুঁতে রাখার অভিযোগ ওঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। শনিবার বিকালে নালিতাবাড়ী উপজেলার রামচন্দ্রকুড়া-মন্ডালিয়াপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ তন্তর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সংবাদ পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে নূর ইসলাম (৩৫) নামে ওই ব্যক্তিকে মাটিচাপা থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চাচা আলিমদ্দিন, তার স্ত্রী মনিরা বেগম ও ছেলে মুক্তার হোসেনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে গৃহপরিচারিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ
নালিতাবাড়ী থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, নালিতাবাড়ীর দক্ষিণ তন্তর গ্রামের আবু তাহের মিয়া মারা যাওয়ার পর তার সহোদর ছোট ভাই আলিমদ্দিন জাল দলিল তৈরি করে কিছু জমি করায়ত্ব করে। এ নিয়ে মৃত তাহেরের ছেলে নূর ইসলামের সঙ্গে চাচা আলিমদ্দিনের বিবাদ চলছিল। এ ঘটনা মীমাংসার জন্য ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার স্থানীয় পর্যায়ে সালিশ বৈঠক হলেও কোন সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে শনিবার দুপুরে আলিমদ্দিন ও তার স্ত্রী-ছেলে মিলে নূর ইসলামের বাড়িতে উপস্থিত হয় এবং তারই বাড়ির আঙিনায় মাটি খুঁড়ে গর্ত করে।
পরে বিকালে নূর ইসলামের দুই হাত বেঁধে কোমড় পর্যন্ত মাটিতে পুঁতে রাখে। এমন খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এ সময় গ্রাম পুলিশের সহায়তায় পুঁতে রাখা নূর ইসলামকে উদ্ধার করে নালিতাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল জানান, এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।