বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ডালভাঙা ইটভাটা সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুর নাম আবদুল্লাহ (৬)। সে রায়ভোগ গ্রামের ছগিরের ছেলে।
অন্য শ্যালককে একইভাবে মেরে ফেলার চেষ্টাকালে স্থানীয়রা মোসলেমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নিহত আবদুল্লাহর লাশ খুঁজে পাওয়া যায়নি।
জানা গেছে, তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে ছগিরের স্ত্রী মারা যান। এরপর আবদুল্লাহ ও আফসানকে (১৮ মাস) তার মেয়েরা লালন পালন করত। সপ্তাহখানেক আগে তার জামাতা মোসলেম বরগুনায় তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে তিনি ডালভাঙা এলাকায় নদীর পাড়ে তার দুই শ্যালক আবদুল্লাহ ও আফসানকে নিয়ে ঘুরতে বের হন। সন্ধ্যার পরে আবদুল্লাহকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর মরদেহ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেন। একই সময় অপর শ্যালক আফসানকে হত্যার চেষ্টার সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করে মোসলেমকে।
নিহত আবদুল্লাহর পিতা ছগির জানান, মোসলেম তার বড় মেয়ে ছবির জামাতা। ঢাকায় থাকা অবস্থায় তার মেয়ে ও নাতিকে ঠিকমতো ভরন পোষণ দিত না। তাই মাসখানেক আগে তার মেয়ে ছবি বাড়িতে চলে আসে। এরপর মোসলেমও সপ্তাহখানে আগে এসে তার বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারা মোসলেমের কাছে তার নাতিকে দিতে রাজী হয়নি। এর জেরে তার ছেলেদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করে মোসলেম।
শিশু শ্যালক আবদুল্লাহকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে মোসলেম বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিতে এসেছিলাম, কিন্ত আমার স্ত্রী ও শ্বশুর দেয়নি। এ কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে আমি শ্যালক আবদুল্লাহ ও আফসানকে হত্যার পরিকল্পনা করে নদীর পাড়ে ঘুরতে নিয়ে যাই। প্রথমে আবদুল্লাহকে দীঘিতে ফেলে ডুবিয়ে হত্যা করে লাশ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেই। এরপর আফসানকেও একই প্রক্রিয়ায় হত্যার চেষ্টা করি।’
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘নিহত শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। মোসলেমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’