প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদের দিন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি, যুদ্ধাপরাধী, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী ও দুর্নীতিবাজরা যাতে আবার ক্ষমতায় আসতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘তারা ক্ষমতায় এলে আবারও এই দেশকে ধ্বংস করে দেবে এবং আমাদের সব অর্জন শেষ হয়ে যাবে।
ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী, বিচারক ও কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে একথা বলেন।
তিন বছর পর ব্যক্তিগতভাবে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০২০, ২০২১ এবং ২০২২ সালে ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে উন্নয়নের সূচনা করেছে তা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা নিশ্চিত করতে পারে। ‘আমরা ২০২৬ সাল থেকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসাবে আমাদের যাত্রা শুরু করব... আমরা সমস্ত প্রস্তুতি নিয়েছি।’
তিনি বলেন, আ.লীগ জনগণের সেবায় আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা...তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা আমার কর্তব্য।
আরও পড়ুন: ‘ভাল এবং নিরাপদ থাকুন’: প্রধানমন্ত্রী
২০১৩-১৪ এবং ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ ও সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা সাম্প্রতিক সময়ে কয়েকটি বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবাজার ও নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা উচিত।
তিনি আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নেভাতে বাধা দেওয়া এবং তাদের ওপর হামলা করা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ।
তিনি বলেন, এসব ঘটনার কারণে তিনি সন্দেহ করছেন যে সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলাদেশ কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি করেছে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও স্থিতিশীলতা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি বলেন, মাত্র ১৪ বছরে তার সরকার বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনের যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, যুদ্ধ ও বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা ও মুদ্রাস্ফীতি সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে এবং সরকার দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।
মহামারির সময়ে নিজ নিজ এলাকার মানুষকে সাহায্য করার জন্য তিনি জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান।
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বর্তমানে চরম দরিদ্রের সংখ্যা কমে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে এবং দারিদ্র্যের হার ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশে কোনো চরম দারিদ্র্য থাকবে না এবং দেশকে সম্পূর্ণ দারিদ্রমুক্ত ঘোষণা করা হবে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে দলীয় নেতা-কর্মী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিক, শিক্ষক ও বুদ্ধিজীবীসহ বিভিন্ন ও পেশার মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
পরে তিনি বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান, বিদেশি কূটনীতিক, সিনিয়র সচিব, এবং সচিবের সমতুল্য পদমর্যাদার বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: তিন বছর পর গণভবনে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী