ভাসানী অনুসারী পরিষদের চেয়ারম্যান ও গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘সরকার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখানে মানুষ মরেছে, মন্দির ভাঙচুর হয়েছে। প্রত্যেকটা ভাঙা মন্দিরে কাল থেকে সরকারের ক্ষতিপূরণ দেয়া দরকার।’
রবিবার দুপুরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জনগণ ও সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। গত বুধবার রাতে হাজীগঞ্জ বাজারে মন্দিরে হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে নিহত হৃদয়ের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ও তার কবর জিয়ারত এবং ভাঙচুরের শিকার দুটি পূজা মণ্ডপ পরিদর্শন করেন ডা. জাফরুল্লাহ।
এ সময় তিনি বলেন, ‘মন্দিরের নিরাপত্তা নিয়ে দেশের গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভুল তথ্য দিয়েছে। মিসলিড করা হয়েছে। আমাদের দেশে একজন ভালো মন্ত্রী হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কিন্তু তাঁকে গোয়েন্দা সংস্থা বোকা বানিয়েছে। তিনি বলেছিলেন, দেশের মন্দিরের নিরাপত্তা দেয়া আছে। কিন্তু কিছু মৌলভী ও ধর্মান্ধ ব্যক্তি সেদিন ইয়ং ছেলেদের বিপদে ফেলেছে। আমরা ভিকটিম পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। কারণ আমরা ব্যর্থ হয়েছি।' তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'সরকার হিন্দু-মুসলিম সবার নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এর কারণ দেশে গণতন্ত্র নাই।’
আরও পড়ুন: এক আঙিনায় মসজিদ-মন্দির, সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন
ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘আমরা পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। কারণ আমরা ব্যর্থ হয়েছি।’
হাজীগঞ্জের পুলিশ ও সাংবাদিককে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানকার পুলিশ ও সাংবাদিকরা একত্রিত হয়ে সংঘর্ষের ব্যাপরটি ট্যাকেল দিয়েছে। তারা বিষয়টি ভিন্নভাবে নেয়নি।’
তার এই সফরে সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, ৬৯’ এর শহীদ আসাদের ছোট ভাই ডা. নুরুজ্জামান ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় সংঘর্ষ: ৩ মামলায় আসামি ৪ হাজারের বেশি