পাহাড়ের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রাঙ্গামাটির সাজেক পর্যটন কেন্দ্রে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) থেকে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত আরও তিনদিন পযর্টকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবাইদা আক্তারের সই করা এক চিঠিতে বলা হয়, রাঙ্গামাটি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিন দিন সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমনে পযর্টকদের নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ভ্রমণ না করার এ সময়সীমা আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অনুসারে ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমনে পযর্টকদের নিরুৎসাহিত করা হয়।
আরও পড়ুন: সাজেক থেকে ফেরার পথে চালকসহ তিন পর্যটককে অপহরণের চেষ্টা
সম্প্রতি খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সাম্প্রদায়িক অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে রাঙ্গামাটির সাজেকে বেড়াতে গিয়ে আটকা পড়া পর্যটকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে অনেক বেগ পেতে হয়। এখনও সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দুই দফা সময়সীমা বাড়িয়ে পর্যটকদের সাজেক পর্যটন কেন্দ্র ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
উল্লেখ্য, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক পর্যটন এলাকায় বেড়াতে গিয়ে অবরোধের কারণে সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়ে প্রায় দেড় হাজার পর্যটক ও ৫০০ ড্রাইভার-কর্মকর্তা ও কর্মচারী।
খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও রাঙ্গামাটিতে পাহাড়ি-বাঙালির সৃষ্ট বিশৃঙ্খলায় ও পাহাড়ি ছাত্র-জনতার ডাকা ৭২ ঘণ্টার অবরোধের কারণে পর্যটক ও ড্রাইভারর-স্টাফরা এই সমস্যায় পড়েন। এ জন্য রিসোর্ট কটেজ মালিকদের পক্ষ থেকে তাদের থাকার জন্যে দেওয়া হয় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট। এছাড়াও তিন দিনের অবরোধের কারণে পর্যটন এলাকায় দেখা দেয়, খাবার পানি, গ্যাস ও খাদ্য সংকট। তাই সাম্প্রদায়িক সংকটের সময়ে সার্বিক পরিস্থিতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিবেচনা করে পর্যটকদের সেখানে ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীর সহায়তায় খাগড়াছড়িতে ফিরলেন সাজেকে আটকে পড়া ১৪০০ পর্যটক