সাভারে শার্টের একটি বোতামের সূত্র ধরে চাঞ্চল্যকর হনুফা আক্তার হত্যার রহস্য উন্মোচনের পর মূল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুক্রবার সাভার থানা মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফি জানান, হনুফা আক্তারকে গত বুধবার বিরুলিয়া ইউনিয়নের বাগনী বাড়ি গ্রামে সন্ধ্যার পর নিজ বসত ঘরে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধারকালে ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকা একটি বোতাম ও হ্যান্ড গ্লাভসের বৃদ্ধাঙ্গুলির অংশ বিশেষ জব্ধ করে।
আরও পড়ুন: সাভারে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষে আহত ৫
পরবর্তীতে তদন্তকালে সহোদর ভাই মোহাম্মদ আলীর শার্টের একটি বোতাম ছেড়া দেখতে পায় পুলিশ। সন্দেহের তালিকায় থাকায় তাকে আটক করে বোতামের হুবহু মিল পাওয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মোহাম্মদ আলী জানান যে বাবার প্রায় ২০ বিঘা জমি তিনি জীবিত থাকাকালে জালিয়াতি করে নিজ নামে নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে মামলার মাধ্যমে বাবা কটু ফকির আদালতের মাধ্যমে জমি ফিরে পান। এ জমি বোন হনুফাকে কটু ফকির জীবিত থাকাকালে প্রায় ১২ বছর পূর্বে ২০ বিঘা জমি লিখে দেন। যার মূল্য কয়েক কোটি টাকা।
সেই জমির অর্ধেক ফেরৎ চেয়ে না পেয়ে তাকে হত্যা করার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে মোহাম্মদ আলী।
এ ঘটনায় নিহতের স্বামী হারুন অর রশিদ তুষার বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ মোহাম্মদ আলীকে ১০দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও গার্মেন্টস শ্রমিকের লাশ উদ্ধার