কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহর খাস কামরায় বুধবার তিনি এই জবানবন্দি দেন। তবে জবানবন্দিতে তিনি কী বলেছেন তা গণমাধ্যমকে জানানো হয়নি।
আদালত সূত্র জানায়, এপিবিএনের এই সদস্যকে বিকাল সাড়ে ৪টায় র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে একটি দল আদালতে নিয়ে আসে। এর পরপরই তাকে বিচারকের খাস কামরায় নেয়া হয়। ওখানে টানা সাড়ে ৩ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি। রাত ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে তাকে বের করে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের একটি দল এপিবিএনের তিন সদস্যকে তাদের হেফাজতে নেন। ১৮ আগস্ট বেলা সাড়ে ১২টায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। র্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা ওইদিন আদালতে তাদের প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারাহর আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত ২২ আগস্ট তাদেরকে র্যাব হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রিমান্ডে নেয়া অপর দুজন হলেন এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব। ঘটনার দিন ৩১ জুলাই ওই তিন জনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ।
এ ঘটনায় নিহতের বোনের দায়ের করা মামলায় আসামি হিসেবে অভিযুক্ত পুলিশের ৯ সদস্যের মধ্যে ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর এ ঘটনায় পুলিশ যে পৃথক মামলা করেছিল সে মামলার তিন সাক্ষীকে র্যাব নিজেদের হেফাজতে নেয় ও পরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়।
হত্যার ঘটনাস্থল এপিবিএন চেকপোস্টে হওয়ায় দফায় দফায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন, গণশুনানির মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্য গ্রহণ শেষে এপিবিএনের তিন সদস্যকেও গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গত ২৩ আগস্ট এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার কথা থাকলেও এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব কর্মকর্তা।