নতুন করে ভাঙনে চরসলিমাবাদ ও চরবিনোনই গ্রামের আরও প্রায় ৪০টি ঘরবাড়িসহ বহু জায়গাজমি ও গাছপালা যমুনাগর্ভে চলে গেছে।
এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বহু স্থাপনা হুমকির মুখে রয়েছে। ওই এলাকায় কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেও ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না।
চৌহালী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন সরকার জানান, উপজেলার খাসকাউলিয়া ইউনিয়নের চরবিনোনই, মিঠুয়ানি, দেওয়ানগঞ্জ বাজার, বাগুটিয়া ইউনিয়নের চরসলিমাবাদ, চরবিনানই, চরনাকালিয়া, স্থল ইউনিয়নের বসন্তপুর, সদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের মহেশপুর ও বারবানাসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। গত তিন সপ্তাহ ধরে এসব অঞ্চলে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
বুধবার দিনভর ভাঙনে দুটি গ্রামের ৪০টি ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের মুখ থেকে অনেক পরিবার অন্যত্র ঘরবাড়ি সরিয়ে নিলেও সেখানেও রেহাই হচ্ছে না। ইতোমধ্যেই বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে, বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিক সহযোগিতা ও দেখাশোনার জন্য আমাকে প্রধান করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটি ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা শুরু করেছে এবং আর্থিক সহযোগিতা দেয়াও শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সেরাজুল ইসলাম বলেন, ওই উপজেলার ভাঙন ঠেকাতে ইতোমধ্যেই ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। যমুনায় এখন পানি কমতে থাকায় এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষার আগে ও পরে এ অঞ্চলের ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ, ব্লক ও বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এতে ভাঙন কিছুটা প্রতিরোধ হলেও আবারও অনেক স্থানে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে।
দেওয়ানগঞ্জ বাজার এলাকাসহ কয়েকটি স্থানে ভাঙন রোধের কাজ চলছে এবং এ উপজেলার ভাঙন রোধে বড় আকারের প্রকল্প প্রণয়নের কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।