আগের বন্যা ও ভাঙনে মানুষের দুঃখ-দুর্দশা এখনও কাটেনি। ইতিমধ্যেই যমুনার তীরবর্তী ৫টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ ও কাজিপুর পয়েন্টে বিপদসীমার সামান্য নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (হেড কোয়ার্টার) রফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরে দফায় দফায় প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই যমুনা নদীর তীরবর্তী শাহজাদপুর, চৌহালী, বেলকুচি, কাজিপুর ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে রোপা আমনসহ বিভিন্ন ফসল। শনিবার বিকাল থেকে যমুনায় পানি বৃদ্ধি এবং অনেক স্থানে প্রচণ্ড ভাঙনও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে চৌহালী, শাহজাদপুর কাজিপুর উপজেলার চরাঞ্চলে এই ভাঙনের তীব্রতা বাড়ছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
এদিকে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ দফা বন্যায় রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সেইসাথে হাজার হাজার পরিবার বন্যা ও ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অনেক পরিবার এখনও মানবেতর জীবনযাপন করছে। এসব ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলে এখনও সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার পক্ষ থেকে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থরা বলছেন, আবারও বন্যা হলে বিশেষ করে নিম্নাঞ্চলের অসহায় মানুষের আরও দুঃখ-দুর্দশা বাড়বে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবিএম রওশন কবীর বলেন, যমুনা তীরবর্তী ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে ২০ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই আবারও বন্যার পূর্ব প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।