মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে বিভাগে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৯৩ জনে। এছাড়া একই সময়ে নতুন করে আরও ৩৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হিমাংশু লাল রায় স্বাক্ষরিত কোভিড-১৯ কোয়ারেন্টিন ও আইসোলেশনের দৈনিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আরও পড়ুনঃ খুলনা বিভাগে করোনায় ১৯ মৃত্যু
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিলেট বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৩৪০ জনকে নিয়ে মোট ৩৯ হাজার ৪৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে। যাদের মধ্যে সিলেট জেলায় ২১ হাজার ৬৯৮ জন, সুনামগঞ্জে ৪ হাজার ৬০৫ জন, হবিগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ৪৯৫ জন, মৌলভীবাজারে ৫ হাজার ৪১৯ জন ও সিলেটের এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩ হাজার ১৫২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ৩৪০ জন করোনা আক্রান্ত রোগীর ১৭৩ জনই সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলার ৩২ জন, হবিগঞ্জের ৫৫ জন ও মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা ৪৪ জন। এদিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ৩৬ জন রোগীর করোনা শনাক্ত হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বিশ্ব জুড়ে করোনা আক্রান্ত ১৯ কোটি ৭৩ লাখ ছাড়াল
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ৯ জনের মধ্যে ২ জন সিলেট জেলার ও একজন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। বাকি ৬ জন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এনিয়ে বিভাগে মৃত্যুবরণ করা মোট রোগীর সংখ্যা ৬৯৩ জন। এর মধ্যে সিলেট জেলার ৫৪০ জন, সুনামগঞ্জে ৪৯ জন, হবিগঞ্জে ৩০ জন, মৌলভীবাজারের ৫০ জন ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৪ জন।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫ জন। এই পর্যন্ত সব মিলিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪০৭ জন। এর মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতালে ২৭৫ জন, সুনামগঞ্জে ৭৪ জন, হবিগঞ্জে ৩০ জন, মৌলভীবাজারে ২৮ জন ভর্তি রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ করোনা: কুষ্টিয়ায় আরও ৭ মৃত্যু
একইদিনে সিলেট বিভাগে নতুন করে আরও ২১৮ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। যাদের মধ্যে ১১০ জন সিলেট জেলার বাসিন্দা। এছাড়া ১৯ জন সুনামগঞ্জের, ৭ জন হবিগঞ্জের, ৭৫ জন মৌলভীবাজার জেলার বাসিন্দা। এদিন ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে আরও ৭ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এনিয়ে বিভাগে করোনা থেকে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৩০ হাজার ৫৩৮ জন।
এছাড়া গত ২৪ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ৮৭ জনকে নতুন করে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।