আলহাজ উদ্দিন (১৯) নামের ওই যুবক জকিগঞ্জ উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের দরগাবাহারপুর গ্রামের লিয়াকত আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জকিগঞ্জস্থ গ্রামের বাড়িতে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
কলেজ পড়ুয়া এই তরুণের আকস্মিক মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। এ নিয়ে এলাকায় চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মো. আব্দুন নাসের জানান, ঘটনাটি ঘটেছে সিলেট শহরের মোগলাবাজার থানা এলাকায়। জকিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, আলহাজ উদ্দিন সিলেট টেকনিক্যাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউশনে উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী ছিলেন। তারা আত্মহত্যার সঠিক কোনো কারণ জানাতে না পারলেও মৃত্যুর পূর্বে আলহাজ উদ্দিন ফেসবুক লাইভে এসে একটি মেয়ের প্রতি অভিমানের কথা প্রকাশ করেছে বলে জানান।
সর্বশেষ ফেসবুক স্ট্যাটাসে আলহাজ উদ্দিন লিখেছেন, ‘কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসে। তারা অনেক স্বার্থপর হয় প্রিয় মানুষটার বিষয়ে। সবকিছু দিয়ে তাদের পেতে চায়। আর আমি কোনোভাবে পাইনি। চলে যাচ্ছি না ফেরার দেশে। ভালোবেসো না, ঠকে যাবে।’
ওই স্ট্যাটাস দেওয়ার প্রায় একঘন্টা পরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যা করেন তিনি। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আত্মহননের লাইভ ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেছে এবং বর্তমানে তার আইডি বন্ধ রয়েছে।
নিহতের চাচা আফজল হোসেন জানান, সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে আত্মহত্যা করায় পরিবারের লোকজন কিছু বুঝতে পারেননি। তিনি তার ভাতিজার মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের প্রতি আহ্বান জানান।
মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছাহাবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।