সোমবার সকাল ৮ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে প্রায় ৩৫ হাজার ভোটার নির্বাচিত করবেন ১৩ জন জনপ্রতিনিধিকে।
সকালে প্রশাসনের কড়া নজরদারিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে কয়েকটি কেন্দ্রে বিচ্ছিন্ন কিছু সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রথম দফার পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডে আলম সফি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রবেশ করে ইভিএম মেশিন ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে স্থানীয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এর আগে কেন্দ্রের দক্ষিণ পাশে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা আমরা শুনেছি। আমাদের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কেন্দ্রে পর্যাপ্ত ফোর্স আছে।’
পৌরসভা নির্বাচন: কুষ্টিয়ায় কাউন্সিলরের হামলায় নিহত ১
এদিকে সকালে ভোট গ্রহণের শুরুতেই সীতাকুণ্ড আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া সকাল ১০টার দিকে ১নং ওয়ার্ডে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
৬৪ পৌরসভা নির্বাচনে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম বিতরণ আগামী সপ্তাহে
সীতাকুণ্ড ডিগ্রি কলেজ, এয়াকুব নগর এলাকায় ভোটারদের কেন্দ্রে বাধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল মুনসুরের একজন এজেন্ট অভিযোগ করে বলেন, ‘সকালে ভোট শুরুর পর বহিরাগত বাঁশবাড়িয়ার ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শওকত আলী তার দলবল নিয়ে সীতাকুণ্ড ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে এসে চিৎকার করে বলেন, বিএনপির এজেন্টরা এখনো কীভাবে কেন্দ্রে অবস্থান করছে..? এর পরপরই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা কেন্দ্র থেকে জোর করে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়।’
এদিকে প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের সরব উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে।
তৃতীয় পর্যায়ে ৬৪ পৌরসভার নির্বাচন ৩০ জানুয়ারি
নির্বাচনে আচরণবিধি নিয়ন্ত্রণে মাঠে কাজ করছেন ৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডের ৩৬ জন প্রার্থী এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৩ জন মহিলা প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ২৭টি ভোট কেন্দ্রে মোট ভোটার রয়েছেন ৩৪ হাজার ৮১৩ জন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে মোট ১৩টি পদে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মেয়র পদে তিনজন এবং কাউন্সিলর পদে (সাধারণ ও সংরক্ষিত) মোট ৭৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এদিকে, ১৩টি পদেই একক প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। এছাড়া জাতীয় পার্টি ও জামায়াতেরও কযেকজন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ মেয়র পদে একক প্রার্থী দিলেও কাউন্সিলর পদে প্রত্যেক ওয়ার্ডে ৪-৫ জন বা কোথাও তার বেশি প্রার্থীও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।
দ্বিতীয় ধাপের ৬১ পৌরসভার ভোট ১৬ জানুয়ারি
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, সীতাকুণ্ড পৌরসভায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮১৩ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৮২৭ জন ও মহিলা ভোটার ১৬ হাজার ৯৮৬ জন। ৯টি ওয়ার্ডে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭টি।
সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে একজন জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি-আনসারসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যারা দায়িত্ব পালন করেছেন।’