ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে সৃষ্ট বন্যায় সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় প্লাবিত অঞ্চলগুলোর পানি কমতে শুরু করেছে।
বন্যার পানি উপজেলার নিন্মাঞ্চলের জনবসতি থেকে নামলেও বসত বাড়িঘরের নাজুক অবস্থার জন্য এখনো ঘরে ফিরতে পারেনি বানবাসি লোকজন। তারা বাধ্য হয়েই বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছে। বন্যায় এ উপজেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে হলে জানা গেছে।
বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ১নং আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন নোমান জানান, তার ইউনিয়নে প্রায় তিনশ’ পরিবারের বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও দুই হাজার পাঁচশ’ বাড়ির আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বন্যায় আরও ২ জনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ১১২
তিনি আরও জানান, পশুখাদ্য নষ্ট হয়েছে প্রায় কোটি টাকার ওপরে।
২নং হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান সুবল চন্দ্র দাস বলেন, তার ইউনিয়ন এলাকায় চলতি বন্যায় প্রায় তিনশ’ পরিবারের বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও তিন হাজার তিনশ’টির বেশি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং প্রায় দেড় কোটি টাকার ওপরে পশু খাদ্যের ক্ষতি হয়েছে।
৩নং বাহাড়া ইউনিয়ন অফিস সূত্রে জানা যায়, এই ইউনিয়নে প্রায় ৩৫০টির বেশি বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও এক হাজার পাঁচশ’টির বেশি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং পশুখাদ্যের ক্ষতি হয়েছে কোটি টাকার ওপরে।
এছাড়া ৪নং শাল্লা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, তার ইউনিয়নে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দেয়া প্রায় সবকটি ঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। তাছাড়া প্রায় ২৫০টির বেশি পরিবারের বসত ঘর সম্পূর্ণরূপে ও তিন হাজার দুইশ’টির বেশি পরিবার আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বন্যায় ৭২ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত: জাতিসংঘ
তিনি আরও জানান, তার ইউনিয়ন এলাকায় প্রায় তিন কোটি টাকার পশুখাদ্যের ক্ষতিসহ কৃষকদের সংরক্ষিত প্রায় ছয়শ’ মেট্রিক টন খাদ্যশস্যের ক্ষতি হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু তালেব বলেন, বন্যায় লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব এখনো চুড়ান্ত ভাবে নির্ধারণ করা হয়নি। তবে, প্রাথমিকভাবে পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিগ্রস্থ ছয়শ’ ৩০টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে নগদ ১০ হাজার টাকা করে মোট ৬৩ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসন এখন পর্যন্ত ৩০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করতে পেরেছে।