তিনি বলেন, ‘সুন্দরবনে দস্যু দমনে এবার চিরুনি অভিযানে নামার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা, খুলনা ও বাগেরহাট এ তিন জেলার পুলিশ যৌথভাবে সুন্দরবনে অভিযানে নামবে। এ জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা পুলিশ লাইন্স ড্রিলশেডে সুন্দরবনের দস্যুতা সংক্রান্ত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘সুন্দরববনে এ মুহূর্তে পাঁচটি জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে। এসব জলদস্যুর কারণে সুন্দরবনের জেলে, বাওয়ালী ও মৌয়ালরা অতিষ্ঠ। জলদস্যুদের সাথে অর্থনৈতিক লেনদেন পরিচালনায় স্থলভাগেও প্রভাবশালীদের অনেকেই জড়িত রয়েছে। জলদস্যুদের সাথে সাতক্ষীরার একাধিক বিকাশ এজেন্ট ও ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এদেরও শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
‘দুই দিন আগে চার বনদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে একজন আসামি, একজন ভিকটিম ও একজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান জানান, সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কালিন্দী নদীতে মাছ ধরার সময় গত ২০ জুন শ্যামনগর উপজেলার টেংরাখালী গ্রামের এশার আলী গাজী ও পার্শ্বেরখালী গ্রামের আজিবর রহমানসহ ৮-৯ জন জেলেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহরণ করে কতিপয় জলদস্যু। এরপর তাদের ভারতে নিয়ে যায় এবং বিকাশের মাধ্যমে দাবিকৃত মুক্তিপণ নিয়ে জেলেদের ছেড়ে দেয়।
তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে পুলিশ সুন্দরবন রেকি করেছে। অভিযান পরিচালনায় যেসব সামগ্রী প্রয়োজন তা চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগে আবেদন করা হয়েছে। শিগগিরই সেগুলো পাওয়া যাবে। জেলে ও বাওয়ালীরা চাঁদাবাজিসহ যেকোনো সমস্যায় পড়লে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করলেই পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাবে। আর এ জন্য যা যা প্রয়োজন তা করা হবে।’
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাউদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার জিয়া ও ডিএসবির সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।