এসময় ডাকাত দলের সদস্যরা সশস্ত্র অবস্থায় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের জিম্মি করে প্রায় ৯ লাখ টাকা লুট করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ব্যাংকের প্রহরী আশরাফুল ইসলাম জানান, দুপুর আনুমানিক ১টা ১৫ মিনিটের দিকে মোটরসাইকেলযোগে তিনজন ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করেন। তাদের সকলের মুখে মাস্ক ও মাথায় হেলমেট ছিল। ব্যাংকে প্রবেশের দুই মিনিট পরই তারা পিস্তল বের করে ব্যাংকের ম্যানেজারসহ সকল কর্মকর্তাদের জিম্মি করে। এরপর ক্যাশে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
ব্যাংকের ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, ব্যাংকে প্রবেশের পরপরই ডাকাত সদস্যরা কর্মকর্তা কর্মচারীদের মোবাইল কেড়ে নেয়। এরপর তারা ক্যাশিয়ারের ডেস্কে থাকা ৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
এদিকে, ব্যাংক ডাকাতির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুঁটে যান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিম লিংকন, উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, দিনে দুপুরে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা দুঃখজনক। এমন ঘটনা নেতিবাচক বার্তা দিবে। তবে ব্যাংকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামরা) না থাকায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রয়াত্ব ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ একটি শাখায় সিসি ক্যামরা নেই, এটি কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। এখানে ব্যাংক কর্মকর্তাদেরও অবহেলা রয়েছে।
তবে খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অভিযুক্ত ডাকাত সদস্যদের আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রতিশ্রুতি দেন পুলিশ সুপার।