ডাকাতি
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি হলো বাসস্থান। বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরি। মূলত একটি বাড়ি কেবল একটি অবকাঠামোই নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জীবনের নিরাপত্তা। তাই এই পরম আশ্রয় যখন হুমকির মুখে পড়ে, তখন তা জীবনের অস্তিত্বের জন্যই ক্ষতিকর। বিশেষ করে, ডাকাতির মতো অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে সম্পদের ক্ষতি থেকে শুরু করে প্রাণনাশেরও আশঙ্কা থাকে। তাই, এর জন্য প্রয়োজন অগ্রিম সতর্কতা। এই নিবন্ধে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে, যা বাড়ির মালিকদের পাশাপাশি ভাড়াটিয়াদের জন্যও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। চলুন, কৌশলগুলোর ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি এড়াতে ১১টি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা
বাসস্থানে চুরি বা ডাকাতির আশংকা কমাতে বাড়ির সদস্যদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বাসায় ডাকাতের আক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।
আগন্তুকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া
বাসা-বাড়ির দরজায় করাঘাত বা কলিং বেলের আওয়াজ শুনে তৎক্ষণাৎ সদর দরজা না খুলে দরজার পীপ হোল দিয়ে আগন্তুককে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অপরিচিত কেউ দরজার ওপাশে থাকলে পরিচয় ও আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। সন্দেহ জনক এক বা একাধিক ব্যক্তি যদি বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তা রক্ষী বা প্রতিবেশীদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা বা আর্মি ক্যাম্পে ফোন দিতে হবে।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে একটি হলো ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা। মূল প্রবেশদ্বার ও গ্যারেজে ক্রমাগত নজরদারির জন্য এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা যেতে পারে। অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড হয়ে থাকে, ফলে দুষ্কৃতিকারীরা এই ব্যবস্থা যুক্ত স্থাপনাগুলো থেকে দূরে থাকে।
আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং, নাইট ভিশন ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করার সুবিধা থাকে। এর ফলে, এগুলোর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে তাৎক্ষণিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত বা সন্দেহভাজন আনাগোনা তদারক করা সম্ভব হয়। এমনকি, বাড়িতে না থাকলেও দূরবর্তী স্থান থেকে এই নজরদারি অব্যাহত রাখা যায়।
মোশন সেন্সর লাইট এবং সাইরেন অ্যালার্ম স্থাপন
ঘরবাড়ির আঙিনায় এমন কিছু স্থান থাকে যেগুলো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। মোশন সেন্সর লাইট লাগানোর ক্ষেত্রে এই স্থানগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এই উন্নত প্রযুক্তি যেকোনো নড়াচড়া শনাক্ত করে এবং নির্দিষ্ট স্থানটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোকিত হয়ে ওঠে। এটি মূলত চোর বা গুপ্ত হামলাকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
এটির সঙ্গে যখন সাইরেন অ্যালার্ম যুক্ত করা হয়, তখন দুটো মিলিয়ে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়। একসঙ্গে কয়েক জোড়া কদমের অনুপ্রবেশ বা দরজায় কষাঘাতের জন্য প্রধান ফটক বা দরজা এই ডিভাইস সংযুক্ত করার উপযুক্ত স্থান হতে পারে। এতে করে অ্যালার্মের শব্দে শুধু বাড়ির ভেতরে থাকা লোকেরাই নয়; আশেপাশের প্রতিবেশীরাও সজাগ হয়ে যাবে। ফলে সংকটাপন্ন পরিবারকে বাঁচাতে তারাও এগিয়ে আসতে পারবে অথবা পুলিশকে জানাতে পারবে।
রাতে ঘুমানোর আগে সব দরজা-জানালা বন্ধ করা
বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার এবং জানালাগুলো যদি অসাবধানে খোলা রাখা হয়, তবে বাড়িতে প্রবেশের জন্য প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতাই থাকে না। চুরি বা ডাকাতি সাধারণত রাতের অন্ধকারে ঘটে এবং এই ধরনের ভুলের কারণে তখন চরম মূল্য দিতে হয়। অনেকেই বাতাস চলাচলের জন্য রাতভর জানালা খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। এটি বিশেষ করে বিল্ডিংয়ের নিচের ২-৩ তলার বাসাগুলোর জন্য ক্ষতিকর।
অনেক বাসায় বারান্দা বা জানালায় টেকসই গ্রিল থাকে না। তাই, অন্তত প্রধান ফটকে উচ্চমানের ডেডবোল্ট লক অথবা কমপক্ষে দুটি স্তরের তালা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত। এছাড়া, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে প্রত্যেকটি লক ভালোভাবে চেক করে নেওয়া একটি ভালো অভ্যাস।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
প্রতিটি ব্লক বা মহল্লায় টহলরক্ষীসহ গেট নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ
জানমালের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয় আমলে নিয়ে শুধু রাতের জন্যই নয়, ২৪ ঘন্টার জন্য অতন্দ্র প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ে তো থাকবেই, সেই সঙ্গে ব্লক বা মহল্লার প্রধান গেটেও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ দিতে হবে। টহলের সময় গেটগুলোতে যেন শূন্যস্থান সৃষ্টি না হয় সেজন্য রক্ষীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
এর মধ্য দিয়ে এলাকায় প্রবেশাধিকার নিরীক্ষণের একটি ব্যবস্থা তৈরি হবে। সাধারণত কেবল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সেই এই ব্যবস্থা বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু নির্জন রাস্তার বাড়িগুলোর ক্ষেত্রেও গার্ড মোতায়েনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
নিকটস্থ থানা ও আর্মি ক্যাম্পের যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহে রাখা
পরিস্থিতি একদম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগের তথ্যগুলো সংগ্রহে রাখা। এতে দুর্ঘটনা সৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কলের মাধ্যমে তাদের জানানো যায়। নিরাপত্তা হটলাইনের পাশাপাশি নিকটস্থ থানা এবং আর্মি ক্যাম্পের মোবাইল নম্বরও সঙ্গে রাখা আবশ্যক।
খুব বেশি বিপজ্জনক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদেরও এগিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে তারা কাউকে বিপদগ্রস্ত দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য চাইতে পারে।
আরো পড়ুন:
অ্যাপার্টমেন্টে নতুন আগত ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া
শুধু অ্যাপার্টমেন্টের মালিক বা বাড়িওয়ালাদের জন্যই নয়, নতুন আসা ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া পুরাতন ভাড়াটিয়াদেরও দায়িত্ব। কোনো ফ্ল্যাটে নতুন কাউকে সাবলেট দেওয়া হচ্ছে কি না এবং নবাগতদের পেশা নিয়ে সুক্ষ্মভাবে যাচাই করা উচিত।
বাড়ির মালিকরা নতুন ভাড়া নেওয়াদের নিকট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পেশাগত পরিচয়পত্রাদি অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। অপরদিকে, অন্যান্য ফ্ল্যাটবাসীরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশের ফ্ল্যাটের ব্যাপারে খোঁজ রাখবেন। এভাবে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত গোটা ভবনেই একটি স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা যাবে।
বাড়ির আঙিনা অন্ধকারাচ্ছন্ন না রাখা
দুষ্কৃতিকারীদের ডাকাতি করার ক্ষেত্রে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং জংলা, ঝোপ-ঝাড়ে আবৃত বাসাগুলো সবচেয়ে বেশি সহায়ক হয়। দুই বাড়ির মাঝের সংকীর্ণ স্থান এবং বাড়ির পেছন ভাগে এমন কিছু অল্প জায়গা থাকে যেগুলোতে দিনের বেলায়ও আলো-আঁধারীর অবস্থা বিরাজ করে। যেসব বাড়িতে বাগান রয়েছে, সেখানে বাগানের সঠিক পরিচর্যা করা না হলে গাছপালা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। ফলে মধ্য দুপুরেও বাগান ও বাড়ির আঙিনায় সূর্যালোক পৌঁছাতে পারে না। তাই নিয়মিতভাবে ঝোপ, গাছ ও ঘাস ছাঁটাই করা জরুরি।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত লাইট বা মোশন সেন্সর লাইট দেওয়া যায়। দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ির কাছাকাছি কোনো ল্যাম্প পোস্টের লাইট অকেজো হয়ে গেলে দ্রুত তা বদলে দিতে হবে।
বাড়ির সীমানা ঘিরে দুর্ভেদ্য কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন
অনুপ্রবেশে প্রাথমিকভাবে যতটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায় ততই ভালো। বেশ পুরোনো উপায় হলেও বাড়ির সীমানা জুড়ে কাটাতারের বেড়া স্থাপন বাড়ির সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোতেও এসেছে যথেষ্ট পরিবর্তন। তাই বেড়া নির্বাচনে সূক্ষ্ম স্পাইক বা কোণযুক্ত ধারের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
প্রতিবেশীরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
যেকোনো প্রতিরোধে সম্মিলিত থাকার কোনো বিকল্প নেই। একের বিপদে অপরজন এগিয়ে আসার মতো তাৎক্ষণিক উদ্যোগ আর কিছুই হতে পারে না। পাশাপাশি দুইটি বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়া তাদের নিজ নিজ বাড়ির আশেপাশে সন্দেহজনক আনাগোনার দিকে খেয়াল রাখা মানে পরস্পরের দিকেই খেয়াল রাখা। নবাগত ভাড়াটিয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে শেয়ার করা হলে পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় একে অপরের বিপদে এগিয়ে যেতে পারে।
এভাবে আগে থেকেই অস্বাভাবিক কার্যকলাপগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ারের মাধ্যমে সতর্ক থাকা যায়। তাছাড়া ভয়াবহ সংকটপ্রবণ মূহুর্তগুলোতে কেবল পুলিশের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রহরার ব্যবস্থা করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
দীর্ঘ ছুটি কাটানো নিয়ে বাড়ির বাইরে কথা না বলা
বাড়ির বাইরে প্রতিবেশী বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় অনেকেই নিজের আসন্ন দীর্ঘ ভ্রমণের কথা বলে ফেলেন। এতে করে তিনি যে একটা উল্লেখযোগ্য সময় যাবত বাড়িতে অনুপস্থিত থাকবেন তা বৃহৎ পরিসরে জানাজানি হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডাকাত বা তাদের সহযোগীরা এলাকার ভেতরেই থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয় নির্দিষ্ট কোনো বাড়িতে ডাকাতির জন্য। এ সময় তারা সাধারণ মানুষের বেফাঁস কথাগুলোর সুযোগ নেয়।
তাই দীর্ঘ ভ্রমণ বা ৬-৭ ঘণ্টার জন্য বাসায় একজনকে রেখে যাওয়ার বিষয়গুলো গোপন রাখা অপরিহার্য। মহল্লার কোনো খাবার হোটেল, টঙের দোকান, পার্ক বা গোলির মোড়ে আড্ডায় এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই প্রকাশ করা ঠিক নয়।
পরিশিষ্ট
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধের এই উপায়গুলো আবাসিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার নামান্তর। এর জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ভূমিকার সমন্বয় ঘটানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মোশন-সেন্সর লাইট ও অ্যালার্ম স্থাপনের সুদূরপ্রসারি তাৎপর্য রয়েছে। রাতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা, সীমানায় কাটাতারের বেড়া স্থাপন, মহল্লায় প্রহরা বাড়ানো এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহে রাখা সাধারণ সতর্কতা। তবে নতুন ভাড়াটিয়াদের যাচাই করা, দীর্ঘ ভ্রমণের ব্যাপারে ঘরের বাইরে আলাপ না করা, এবং প্রতিবেশীরা সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া সক্রিয়তার পরিচয় দেয়।
সর্বসাকূল্যে, প্রত্যেকটি কৌশলকে একীভূত করার মাধ্যমে বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটিয়া উভয় শ্রেণি সমানভাবে উপকৃত হতে পারবেন।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
১ মাস আগে
ডাকাতির সময় আজিমপুর থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার
শুক্রবার ঢাকার আজিমপুর এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতির সময় অপহৃত আট মাসের শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে একটি বাসা থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে ডাকাতরা। তারা লুটপাটের মালামাল নিয়ে পালানোর সময় শিশুটিকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তারের ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসেবে বসবাস করতে আসেন এক নারী।
শুক্রবার সকালে, ওই নারীর ভাই পরিচয়ে দুই পুরুষ বাসায় ঢুকে ফারজানাকে বন্দি করে নগদ দেড় লাখ টাকা এবং চার তোলা সোনা লুট করে।
স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ফারজানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ডাকাতিয়ায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, দগ্ধ ৬
১ মাস আগে
নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
নাটোরের দুটি বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কার,নগদ টাকা ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ ডাকাতকে নওগাঁ থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গত ১২ নভেম্বর মধ্যরাতে মুখোশধারী সশস্ত্র ডাকাতদল নাটোর শহরের মীরপাড়া মহল্লার উত্তম সাহা ও পালাপাড়া মহল্লার স্বপন কুন্ডুর বাড়িতে হানা দেয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে যুবলীগ নেতা হত্যা: ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
পুলিশ সুপার জানান, এসময় উভয় পরিবারের লোকদের জিম্মি করে প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার,নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গতরাতে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মিন্টু কুমার,এনামুল হক,সবুজ আলী ও রনিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
অস্ত্র ও লুণ্ঠিত কিছু স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: নাটোরে বাসের ধাক্কায় ভ্যান চালকের মৃত্যু
১ মাস আগে
সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত: জামায়াতের নায়েবে আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ ডাক্তার আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, সালমান এফ রহমান একজন প্রসিদ্ধ ডাকাত। এমনিতে তাকে দরবেশ বলে? কারণ তিনি দাড়ি রেখে ডাকাতি করেন।
তিনি বলেন, সালমান এফ রহমানকে আগেই ধরা হয়েছিল। তার দাড়ি কামিয়ে লুঙ্গি পরিয়ে মানুষের সামনে আনা হয়। এমন জীবন কে চান?
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাতে কুমিল্লার একটি রেস্টুরেন্টে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
নায়েবে আমির বলেন, দেশের একমাত্র সমস্যা দুর্নীতি। যারা এই দেশ শাসন করেছে এত বছর ধরে, তারা কেউই দুর্নীতি থেকে দেশকে রক্ষা করতে পারেনি। দুর্নীতি যদি বন্ধ হয়ে যায়, আমাদের জিডিপি দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিমুক্ত, জ্ঞানসম্পন্ন, নৈতিকতা সম্পন্ন ও মানবিক সমাজ আমাদের দরকার। এখন এটি অর্জনের সময় এসেছে। এটি ইতিহাসের একটি পরিবর্তন হতে পারে। আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছেছি যা আমাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করেছে। যদি এই সুযোগ আমরা কাজে লাগাতে না পারি তাহলে তো আগের মতোই হবে- যেই লাউ সেই কদু।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন দিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বেশি সময় নেওয়া উচিত নয়: জামায়াত আমির
জামায়াত নেতা তাহের বলেন, এটি আমাদের তৃতীয় স্বাধীনতা। ১৯৪৭ সালে একবার, ১৯৭১ সালে একবার ও সর্বশেষ ২০২৪ সালে একবার। যদি ৭১ থেকে শুরু করেন তাহলে এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জামায়াত ইসলামের নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন জামায়াত ইসলামীর মহানগর আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক ডা. গিয়াস উদ্দিন, ডা. মো. আরিফ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. কাউছার হামিদসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
অনুষ্ঠানের অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লার বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এসময় ইন্টার্ন চিকিৎসকদের ক্যারিয়ার গাইডলাইন বিষয়ক আলোচনা করেন সেন্ট্রাল মেডিকেল কলেজ মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মো. মাহবুবুল ইসলাম মজুমদার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ঘৃণা ও বিভাজনের রাজনীতির কবর দিন: জামায়াত আমির
ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম কুমিল্লার সভাপতি ডা. জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন এনডিএফ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. জুয়েল রানা।
২ মাস আগে
‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ ৫ যুবক গ্রেপ্তার
নড়াইলে একটি বাড়িতে ‘ডাকাতির প্রস্তুতিকালে’ আন্তঃজেলা ডাকাতদলের পাঁচ যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয় বলে দাবি পুলিশের।
শুক্রবার দিবাগত রাতে কমলাপুর গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন, নড়াগাতি থানার মুরাদ মোল্যা, কয়রা থানার চরমুখা গ্রামের আব্দুর রউফ, ভোলা সদরের হনি কোরলিয়া গ্রামের মো. সবুজ, খুলনার খালিশপুরের মো. শুভ ও বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার কলশকাঠি গ্রামের মো. আবু সাঈদ মোল্যা।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার দিবাগত রাতে আউড়িয়া ইউনিয়নের কমলাপুর কুন্ডুপাড়ায় শ্যামা কুন্ডুর বাড়িতে আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সরঞ্জামসহ একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকেই খুলনার বিভিন্ন এলাকায় বাসা-বাড়িতে ভাড়া থেকে ডাকাতির কার্যক্রম চালাত। এদের কয়েকজনের নামে খুলনা, বাকেরগঞ্জ থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতি প্রস্তুতির মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেপ্তার ৫
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক
৪ মাস আগে
রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার ১২
বাগেরহাটের রামপালে বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডে ডাকাতির অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ সময় ডাকাত দলের সদস্যেদের হামলায় দুইজন আনসার সদস্যসহ বিদ্যুৎকেন্দ্রের তিনজন নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী আহত হন।
আরও পড়ুন: ১৬ দিন পর ফের উৎপাদন শুরু রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে
আহতরা হলেন- আকরাম, সাইদুল ইসলাম, মিন্টু বৈরাগী, ব্রজেন মন্ডল ও হাবি কামাল পাশা। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ৩ নম্বর আনসার ব্যাটেলিয়নের হাবিলদার সহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০ জনের নামউল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত পরিচয়ের ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ এহাজরভুক্ত ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বরাত দিয়ে রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোমেন দাশ বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জনের একদল ডাকাত বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালায়। এসময় তারা ৯০ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন সাইজের ১ হাজার ৫০০ কেজি লোহার রড নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল এবং খুলনার দাকোপ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে।
আরও পড়ুন: রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ‘ডাকাতির চেষ্টায়’ ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ২৯,৬৩০ মেট্রিক টন কয়লা পৌঁছেছে মোংলায়
৮ মাস আগে
যশোরে অস্ত্রসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্য আটক
যশোরে ডাকাতি অভিযানের প্রস্তুতিকালে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গুলিসহ ‘কিশোর গ্যাং’য়ের ৯ সদস্যকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পুলিশ।
শনিবার (২ মার্চ) দুপুরে যশোর শহরের রায়পাড়া রেলস্টেশনের পুকুরের দক্ষিণ পাশ থেকে তাদের আটক করা হয়।
তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের মোট ১১টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যশোর জেলা ডিবি পুলিশ।
আটকরা হলেন- কদমতলা এলাকার মৃত জাফর হালদারের ছেলে কপিল চন্দ্র সাহা চয়ন (২৯), আমিন (৪৪), বেজপাড়া আনসার ক্যাম্প এলাকার টুলু মোল্লার ছেলে ইমন মোল্লা (১৯), শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার মাসিম শেখের ছেলে অয়ন (১৯), বারান্দি কদমতলা এলাকার বিউল ইসলামের ছেলে মুন্না ইসলাম সাগর (২১), মুরলী জোড়া মন্দির এলাকার হাফিজুর রহমান হ্যাপির ছেলে হাসিবুর রহমান রাতুল (১৯), কাজীপাড়া গোলামপট্টির মৃত শরিফুল ইসলামের ছেলে রাফিদুল ইসলাম রোহান (১৯), শার্শা উপজেলার শিকারপুরের নাহিদ শেখের ছেলে নয়ন শেখ (১৯) ও ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে রিফাতুল ইসলাম নিভা (১৯)।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে কিশোর গ্যাংয়ের ৩৭ সদস্য গ্রেপ্তার
আটকরা ডাকাতি, চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে আরও বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানায় এসআই নুর ইসলাম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: বগুড়ায় পিকনিকের বাস থেকে কিশোর গ্যাংয়ের ৯ সদস্য আটক
৯ মাস আগে
কুমিল্লায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দেশীয় অস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে অস্ত্রসহ পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র জব্দ করা হয়
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে চান্দিনার তীরচর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ১৩
আটক হওয়া পাঁচ ডাকাত হলো- কুমিল্লা তিতাস উপজেলার হযরত আলী ও মোহাম্মদ হাসাস, চান্দিনা উপজেলার রুহুল আমিন ও মোহাম্মদ কাউছার এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মোহাম্মদ জহির।
শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, মহাসড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে একটি দল অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে আটক করে। এছাড়া ডাকাত দলের বেশ কয়েকজন এসময় পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, এদের কাছ থেকে সাত ধরনের বেশ কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও ডাকাতিসহ মামলা রয়েছে। ডাকাতরা মহাসড়কের নির্জন স্থানে চলন্ত যানবাহনে ধারালো রড ছুড়ে চাকা বিকল করত। এতে যানবাহন থেমে গেলে তাতে ডাকাতি করত।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে বিজিবি'র অভিযানে ৭০ হাজার ইয়াবা জব্দ, আটক ১
৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
১ বছর আগে
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ডাকাতি হওয়া ২৩ লাখ টাকা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৭
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে গত ১০ অক্টোবর র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পরিচয়ে গাড়ি থেকে ৪৮ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনায় সাত জেলা থেকে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নতুন খোলা এক্সপ্রেসওয়েতে এটিই ছিল এই ধরনের প্রথম ডাকাতি।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ ঘটনা ঘটলেও রবিবার (২২ অক্টোবর) ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার হারুন-অর-রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ দশমিক ৫ কিলোমিটার কাওলা-ফার্মগেট এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধনের একদিন পর গত ৩ সেপ্টেম্বর এক্সপ্রেসওয়েটি যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়।
মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ডিবি প্রধান জানান, গ্রেপ্তার হওয়া ৭ জন হলেন- সবুজ মিয়া ওরফে শ্যামল (৩৯), শাহরুল ইসলাম ওরফে সাগর (২৩), আবু ইউসুফ (৪১), দিদার দিদার মুন্সি (৩৫), ফেরদৌস ওয়াহিদ (৩৫), আলামিন দুয়ারি দিপু (৪২) ও দাউদ হোসেন মোল্লা (৩৯)।
তিনি আরও জানান, ছিনতাইয়ে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার, নকল র্যাবের জ্যাকেট, হাতকড়া, খেলনা জাতীয় পিস্তল, ওয়্যারলেস ও মোবাইল ফোন সেট, লুট হওয়া টাকার সঙ্গে আনা গয়না জব্দ ও নগদ ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ‘কাটআউট’ পদ্ধতিতে ডাকাতি করে আসছিল। এমনকি তারা ব্যবহৃত যানবাহনের নেমপ্লেট পরিবর্তন করে এবং মোবাইল ফোন সেটও নষ্ট করে।
গত ১০ অক্টোবর বিকাল ৩টার দিকে উত্তরার একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ৮৩ লাখ টাকা উত্তোলন করেন ব্যবসায়ী সোহেল আহমেদ সুলতানের বিজনেস অ্যাকাউন্ট্যান্ট অনিমেষ চন্দ্র সাহা।
এর মধ্যে সোহেলের ব্যবসায়িক অংশীদার জাফর ইকবালের প্রতিনিধি রাজন নামে একজনকে ব্যাংকে ৩৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
পরে অনিমেষ ও আরেক কর্মচারী শাহজাহান তাদের নিজস্ব গাড়িতে করে উত্তরা থেকে বাকি ৪৮ লাখ টাকা নিয়ে বনানীর দিকে যাচ্ছিলেন।
ডিবি প্রধান জানান, বিকাল ৪টার দিকে খিলক্ষেত ডেন্টাল কলেজসংলগ্ন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে একটি মেরুন প্রাইভেটকার হঠাৎ করে অনিমেষের গাড়ি থামায়।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলে যাত্রীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে এমআরটি পুলিশ: ডিএমপি কমিশনার
র্যাবের ইউনিফর্ম পরিহিত পাঁচ-ছয়জন লোক মেরুন গাড়ি থেকে নেমে অনিমেষকে জানায়, তাদের গাড়িতে অস্ত্র রয়েছে, ডাকাতরা চোখ বেঁধে অনিমেষ, শাহজাহান ও তাদের চালক আবুল বাশারকে হাতকড়া পরিয়ে দেয়।
ডাকাতরা গাড়ি থেকে ৪৮ লাখ টাকা, একটি ব্ল্যাঙ্ক চেক ও তিনটি মোবাইল ফোন সেট লুট করে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ঘুরে ৩০০ ফুট এলাকায় ফেলে রেখে যায়।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী সোহেল বাদী হয়ে খিলক্ষেত থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
ডিবি সদস্যরা সিসিটিভি ফুটেজ, বাদীর জবানবন্দি ও অন্যান্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাতদের শনাক্ত করে।
হারুন বলেন, সবুজের নেতৃত্বে ডাকাতি সংঘটিত হয় এবং লুট হওয়া টাকা ডাকাতদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।
ডাকাতরা ওই টাকা বাড়ি ভাড়া, স্ত্রীর জন্য স্বর্ণ কেনা ও জুয়া খেলার কাজে ব্যবহার করে এবং আদালতে লড়ার জন্য আইনজীবীদের ফি হিসেবে টাকা রাখে জানিয়ে ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
ডাকাত দলের সঙ্গে র্যাবের কোনো সদস্য জড়িত কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা সেরকম কাউকে খুঁজে পাননি, তবে একটি মামলা পরিচালনার সময় এই চক্রের সঙ্গে যোগ দেওয়া আদালতের মাহুরিকে পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ঢাকাসহ ১৩টি জেলায় ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকসহ ১০ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কেউ সহিংসতার চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ : ডিএমপি কমিশনার
১ বছর আগে
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুষ্টিয়ায় ডাকাতি মামলায় ৯ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে কুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জাকির, উল্লাস, রফিক, তৈয়মুর ইসলাম, পিচ্চি মনির, সাগর, তামিম ইসলাম, বিপুল ও খন্দকার।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় সাবেক ইউপি মেম্বারের ২৬ বছরের কারাদণ্ড
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালে ২২ জুলাই দিনগত রাত ২টার দিকে একদল ডাকাত কুষ্টিয়ার চৌড়হাস মতিমিয়া রেল গেইট সংলগ্ন এলাকার এক বসতবাড়িতে হামলা করে।
এসময় বাদী ফরিদা ইসলামসহ বাড়ির সদস্যদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার, টাকা, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। একই সঙ্গে সবাইকে বেঁধে রেখে বাড়ির আসবাবপত্র নিয়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় ওই দিন দুপুরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় বেগম ফরিদা ইসলাম বাদী হয়ে সন্দেহজনক তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি ডাকাতি মামলা করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই হারাধন কুণ্ডু মামলাটির তদন্ত শেষে ২০১০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি অনুপ কুমার নন্দী রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বিচারকের ওপর হামলা: নেতার ছেলের কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে হত্যা: ২ ছিনতাইকারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
১ বছর আগে