ডাকাতি
চট্টগ্রামে ডাকাতি ঠেকাতে গিয়ে সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ
চট্টগ্রামের গাউসিয়া গ্রোসারি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে শহিদুল ইসলাম সায়েম (২৫) নামের এক সেনাসদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার মেখল এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গাইলে ডাকাতদলের ২ সদস্য গ্রেপ্তার, টাকা ও গুলি উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, গাউসিয়া গ্রোসারি নামেও ওই প্রতিষ্ঠানে মুখোশ পরা চার অস্ত্রধারী দোকানিকে জিম্মি করে দুই ক্যাশের টাকা ও দামি সিগারেটসহ মালামাল নিয়ে যাচ্ছিল। বাসার সিসি ক্যামেরায় এই দৃশ্য দেখে দোকানির ছোট ভাই সেনাসদস্য সায়েম বাসা থেকে দৌঁড়ে দোকানে আসামাত্র দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় তিনি গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল হোসেন বলেন, ‘ছুটিতে বাড়িতে আসা সেনাসদস্য সায়েম ডাকাতদের গুলিতে আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
৭ দিন আগে
ডাকাতির ৮ দিন পর রডের ট্রাক উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
সাভারের আশুলিয়ায় ডাকাতি হওয়ার আট দিন পর রডভর্তি ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় দুই ডাকাতকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার (১৬ মার্চ) সাভার সার্কেল অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির।
পুলিশ জানায়, গত ৮ মার্চ নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়ার কবিরপুর এলাকায় একদল ডাকাত ডিবি পুলিশ পরিচয়ে একটি রড ভর্তি ট্রাক ছিনতাই করে। পরে এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাতে সাভারের ব্যাংক টাউন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আনোয়ার হোসেন ও নুরে আলম নামের দুই ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। এসময় রডভর্তি ট্রাকটিও উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কালীগঞ্জে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়িতে ডাকাতি, স্বর্ণালংকার-টাকা লুট
আটকদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পালিয়ে থাকা অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
৪৮ দিন আগে
ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিন ইউনিটের কাজ শুরু
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং ডাকাতি-ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের তিনটি ইউনিট আজ থেকে কাজ শুরু করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজশাহীর প্রাইমারি ট্রেনিং সেন্টারে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ে কর্মশালায় যোগদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী চায় না বাংলাদেশে স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় থাক। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বাভাবিক রাখতে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।’
‘‘রাজধানীতে রাতে ছিনতাই বেড়েছে। দিনেও ছিনতাই বেড়েছে। ডাকাতি ও ছিনতাই প্রতিরোধে পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিট র্যাব, এন্টি টেররিজম ইউনিট ও ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সমন্বয়ে গঠিত ইন্টেনসিভ পেট্রোল পোগ্রাম আজ (সোমবার) থেকে কাজ শুরু করবে,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালের সেবার মান বাড়ানোর নির্দেশ দিলেন আইজিপি
আইজিপি বলেন, ‘এতেও কাজ না হলে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যৌথ বাহিনীতে একটা সাইজেবল কম্পোনেন্ট থাকে। আসলে পুলিশে এত বড় কম্পোনেন্ট নেই। কিন্তু যৌথ বাহিনী একটি জয়েন্ট পার্টি।’
তিনি বলেন, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট মূলত যারা সন্ত্রাস করে সমাজবিরোধী কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে। এটি আমরা শুরু করেছিলাম বেশ কয়েকদিন আগেই। ডেভিল হান্টে কারা ধরা পড়ছে আপনারা একটু দেখেন। বড় সন্ত্রাস, বড় চোরাকারবারি সবাই ধরা পড়ছে।’
৬৮ দিন আগে
যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কাউন্সিলরসহ আটক ৪
যশোরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে কাউন্সিলর ও সাবেক সেনা সদস্যসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি ও ১টি মাইক্রোবাস জব্দ করা হয়।
শহরের শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকায় রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকরা হলেন- যশোরের নতুন খয়েরতলা এলাকার মো. মিজানুর রহমান, চুড়ামনকাঠি এলাকার ফিরোজ আহম্মেদ, চৌগাছা উপজেলার চৌগাছা বিশ্বাস পাড়ার মো. গোলাম মোস্তফা ও পুড়াপাড়ার মো. রকি বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: সিলেটে এক রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন সন্ত্রাসীরা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এরপর ডিবি পুলিশের একটি দল রাত ১টার দিকে ওই অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদলের সদস্যরা একটি মাইক্রোবাসে করে পালানোর চেষ্টাকালে ৪ জনকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, আটকদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা চৌগাছা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মিজানুর রহমান অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য।
১২৪ দিন আগে
সিলেটে এক রাতে ৩ বাড়িতে ডাকাতি
সিলেটের ওসমানীনগরে এক রাতে তিন প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির হয়েছে। এতে প্রায় ২৩ ভরি স্বর্ণালংকারসহ টাকা লুটের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমেদ, লতিবপুর গ্রামের মিজানুর রহমান ও পার্শ্ববর্তী আশিক আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ডাকাতদের হামলায় দুই পরিবারের তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- লতিবপুর গ্রামের ছানাওর আলীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬০), ছেলে হোসাইন আহমদ (২২) ও মাধবপুর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৪০)। তাদের বালাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ড্রেন থেকে পাওয়া গেল থানার লুট হওয়া শটগান
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৩টার দিকে লতিবপুর গ্রামের প্রবাসী মিজানুর রহমানের বাড়িতে বসতঘরের কেচি গেট ও দরজা ভেঙে ১২–১৩ জন ডাকাত ঢুকে মিজানের ছোট ভাই হোসাইন আহমদের মাথায় রড দিয়ে আঘাত করে একটি কক্ষে বেঁধে রাখে। এরপর অপর কক্ষে হোসাইন আহমদের মা আনোয়ারা বেগমকে রড দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে ছয় ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে।
একই রাতে পাশের মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদের বাড়িতে সাত–আটজনের একদল ডাকাত দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে গৃহকর্মী সিরাজ মিয়াকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। তখন মামুন আহমদের ঘরে থাকা ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, ব্রিটিশ পাউন্ডসহ প্রায় এক লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়াও, লতিবপুর গ্রামের মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী আশিক মিয়ার বাড়ির কেচি গেট ও দরজা ভেঙে ১ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১১ শ’ টাকাসহ কিছু মালামাল লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। ডাকাতিকালে আশিক মিয়ার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছিলেন না। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে খবর পেয়ে তারা বাড়িতে এসে দেখেন, তাদের ঘরের গেট ও দরজার তালা ভাঙা এবং আলমিরায় থাকা স্বর্ণালংকার নেই বলে জানায় পুলিশ।
আশিক মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, ‘আমি আমার বাপের বাড়িতে ছিলাম। সকালে গ্রামে ডাকাতি হয়েছে শুনে বাড়িতে এসে দেখি আমার ঘরের গেট ও দরজা খোলা এবং আলমিরায় রাখা স্বর্ণালংকার ও টাকা নেই।’
আহত হোসাইন আহমদ বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে গেট ও দরজা ভেঙে ১২ থেকে ১৩ জন ডাকাত ঘরে ঢুকে আমাদের মারধর করে ছয় ভরি স্বর্ণ লুটে নেয়। রড দিয়ে তারা আমার মাথায় আঘাত করে। আমার মাকেও তারা মেরেছে।’
মাধবপুর গ্রামের মামুন আহমদ বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে সাত থেকে আটজন ডাকাত গেট ও দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে ১৬ ভরি স্বর্ণালংকার, পাউন্ডসহ নগদ ১ লাখ টাকা লুটে নেয়। এ সময় তারা আঞ্চলিক ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিল। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে তারা আমার ঘরের সব আলমারি ভেঙে তছনছ করে। এরপর আমাদের ঘরে বেঁধে রেখে চলে যায়। ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময় দুটি সিএনজিচালিত অটোরিকশার শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান বলেন, ‘ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: গোয়াইনঘাটের সালুটিকর-কচুয়ারপার সড়কে অন্তহীন দুর্ভোগে মানুষ
১২৬ দিন আগে
জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: তদন্ত কমিটি গঠন
চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদীতে জাহাজে ডাকাতিকালে সাত খুনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকালে জেলা সদর হাসপাতালের মর্গ থেকে নিহতদের লাশগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের সময় একথা জানান জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইউএনবিকে বলেন, ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) একরামুল সিদ্দিককে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে আরও থাকছেন কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও জেলা পুলিশের প্রতিনিধি।
এই কমিটি আমাদেরকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দেবে বলে জানান ডিসি মোহাম্মদ মোহসীন।
আরও পড়ুন: জাহাজে ডাকাতিকালে ৭ খুন: স্বজনদের দাবি ‘পরিকল্পিত হত্যা’
এর আগে, সোমবার বিকেলে ওই চর থেকে নিহতদের লাশ ও আহতদের উদ্ধার করে কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ।
নিহত জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া (৫৫) ফরিদপুর জেলা সদরের জোয়াইর গ্রামের মৃত আনিছ বিশ্বাসের ছেলে। লস্কর শেখ সবুজ (৩৫) মাস্টারের আপন ভাগ্নে, তিনি একই গ্রামের মৃত আতাউর রহমানের ছেলে।
সুকানি আমিনুল মুন্সী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার ইটনা ইউনিয়নের পাঙ্খারচর গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে। লস্কর মো. মাজেদুল (১৬) মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানার মো. আনিছুর রহমানের ছেলে। একই উপজেলার পলাশ বাড়িয়া গ্রামের লস্কর সজিবুল ইসলাম (২৬) দাউদ হোসেনের ছেলে।
এছাড়া ইঞ্জিনচালক মো. সালাউদ্দিন (৪০) নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার লাহোরদিয়া ১১ নলি গ্রামের মৃত আবেদ মোল্লার ছেলে এবং বাবুর্চি কাজী রানা (২৪) মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ভাগ্যকুল গ্রামের কাজী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: মেঘনায় জাহাজে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৭
১৩০ দিন আগে
সাভার-আশুলিয়ায় তিন সড়কে ডাকাতি, আহত ২০
সাভার ও আশুলিয়ায় এক রাতে তিন সড়কে বাস ও প্রাইভেটকারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে ৪ জনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন সড়কে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ডাকাতির কবলে পড়া যানবাহনের যাত্রীরা জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা আরিচা মহাসড়কের সাভারের রেডিও কলোনি থেকে সিএনবি পর্যন্ত ওয়েলকাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে একদল ডাকাত ডাকাতি করতে ওঠে। এ সময় তারা চারজনকে কুপিয়ে আহত করে এবং যাত্রীদের সঙ্গে থাকা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন হল সংলগ্ন মহাসড়কে নেমে যায়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অন্য এক ঘটনায় সাভারের চাঁপাইন এলাকায় জনসম্মুখে চারজনকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে এক যুবক। এ ঘটনায় ওই যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে দোকানে ডাকাতি
এ ছাড়াও, আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের পলমল গার্মেন্টসের পাশে একটি বিয়ে বাড়ির গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বিয়ে বাড়ির লোকজন জানান, ময়মনসিংয়ের থেকে রাত ২টার দিকে বিয়ে বাড়ির একটি মিনি বাস আশুলিয়ার সদরপুর আসছিল। বাসটি সেখানে পৌঁছালে রাস্তায় গাছ ফেলে একদল অস্ত্রধারী ডাকাত বাসটি আটক করে বাসে থাকা সবাইকে মারধর করে। এ সময় তারা নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুটপাট করে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
এদিকে আশুলিয়ায় চলন্ত প্রাইভেটকারের গতিরোধ করে লক্ষাধিক টাকাসহ মোবাইল ফোন লুট করেছে ডাকাতরা। শুক্রবার রাতে কাঠগড়া-টঙ্গাবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের দুর্গাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থেকে নিজস্ব প্রাইভেটকার যোগে ঢাকার মিরপুরের উদ্দেশে রওনা হয় কয়েকজন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে কাঠগড়া-টঙ্গাবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের দুর্গাপুর এলাকায় পৌঁছালে ৩-৪ জন ডাকাত গাড়িটির গতিরোধ করে। এরপর গাড়ির সামনের ও দুই পাশের কাঁচ ভেঙে রেজাউল করিমের সঙ্গে থাকা ১ লাখ ১৩ হাজার টাকা, একটি আইফোন ও একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন ফোন লুট করে ডাকাতরা। তারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ছিল।
আরও পড়ুন: বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর বলেন, ‘ডাকাতদের আটকের চেষ্টা চলছে।’
১৩৩ দিন আগে
মেহেরপুরে নৈশ প্রহরীকে বেঁধে দোকানে ডাকাতি
মেহেরপুর শহরে নৈশ প্রহরীকে চোখ ও হাত পা বেঁধে রেখেখে ট্রাক ভড়িয়ে দোকান থেকে প্রায় ১২ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিক মোড়ে ‘সোহানা বস্ত্রালয়’ নামের একটি কাপড়ের দোকানে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
সোহানা বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী স্বপন ইসলাম বলেন, ‘রাত আড়াইটার দিকে আমি দোকান বন্ধ করে বাড়িতে যাই। ভোরের দিকে এক নারী ফোন করে এ ডাকাতির ঘটনা জানান। সঙ্গে সঙ্গে আমি দোকানে গিয়ে দেখি দোকানের তালা ভেঙে সব মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাত দল।’
তিনি জানান, দোকান থেকে শীতের নতুন কম্বল, থ্রি পিস, শাড়িসহ ১২ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে গেছে।
স্বপন ইসলাম জানান, স্থানীয় এক নারী ভোরের দিকে দোকান থেকে একটি ট্রাকে মালামাল তুলতে দেখেন। এসময় তিনি পুলিশকেও খবর দেন।
বাজারের নৈশ প্রহরী শহিদুল ইসলাম গগন জানান, ভোর ৪টার দিকে চারজন ব্যক্তি একটি ট্রাক নিয়ে এই সড়কে ঘুরাঘুরি করছিল। আমি তাদের খোঁজ খবর নিতে গেলে তারা আমাকে দেশীয় অস্ত্র বুকে ধরে চোখ-মুখ বেঁধে এক জায়গায় ফেলে রাখে। পরে কী হয়েছে তা কিছুই দেখিনি।
মেহেরপুর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আব্দুল করিম জানান, ভোরের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি।
তিনি বলেন, ‘ডাকাত দল অভিনব কায়দায় এ চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। চুরির সময় সিসি ক্যামেরা ও হার্ডডিস্কও নিয়ে গেছে। তবে সাইবার ক্রাইম টিমসহ পুলিশের বেশ কয়েকটি দল কাজ করছে। দ্রুত এ সংঘবদ্ধ ডাকাত দলকে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।
১৩৫ দিন আগে
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধে করণীয়
মানুষের মৌলিক অধিকারের একটি হলো বাসস্থান। বাসা-বাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ অত্যন্ত জরুরি। মূলত একটি বাড়ি কেবল একটি অবকাঠামোই নয়, বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে জীবনের নিরাপত্তা। তাই এই পরম আশ্রয় যখন হুমকির মুখে পড়ে, তখন তা জীবনের অস্তিত্বের জন্যই ক্ষতিকর। বিশেষ করে, ডাকাতির মতো অপরাধগুলোর ক্ষেত্রে সম্পদের ক্ষতি থেকে শুরু করে প্রাণনাশেরও আশঙ্কা থাকে। তাই, এর জন্য প্রয়োজন অগ্রিম সতর্কতা। এই নিবন্ধে কিছু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার প্রতি আলোকপাত করা হয়েছে, যা বাড়ির মালিকদের পাশাপাশি ভাড়াটিয়াদের জন্যও কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। চলুন, কৌশলগুলোর ব্যাপারে বিশদ জেনে নেওয়া যাক।
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি এড়াতে ১১টি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা
বাসস্থানে চুরি বা ডাকাতির আশংকা কমাতে বাড়ির সদস্যদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সচেতনতার পাশাপাশি কিছু নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা বাসায় ডাকাতের আক্রমণের সম্ভাবনা হ্রাস করতে পারে।
আগন্তুকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া
বাসা-বাড়ির দরজায় করাঘাত বা কলিং বেলের আওয়াজ শুনে তৎক্ষণাৎ সদর দরজা না খুলে দরজার পীপ হোল দিয়ে আগন্তুককে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। অপরিচিত কেউ দরজার ওপাশে থাকলে পরিচয় ও আগমনের কারণ জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে। সন্দেহ জনক এক বা একাধিক ব্যক্তি যদি বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে তৎক্ষণাৎ নিরাপত্তা রক্ষী বা প্রতিবেশীদের সাহায্য নিতে হবে। প্রয়োজনে নিকটস্থ থানা বা আর্মি ক্যাম্পে ফোন দিতে হবে।
আরো পড়ুন: মোবাইল ফোন বিস্ফোরণ: কারণ ও বাঁচার উপায়
সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন
সাম্প্রতিক দশকগুলোতে সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানের জন্য বাংলাদেশে বহুল ব্যবহৃত প্রযুক্তির মধ্যে একটি হলো ক্লোজড-সার্কিট টেলিভিশন (সিসিটিভি) ক্যামেরা। মূল প্রবেশদ্বার ও গ্যারেজে ক্রমাগত নজরদারির জন্য এই ক্যামেরাগুলো স্থাপন করা যেতে পারে। অপরাধ সংঘটনের ক্ষেত্রে ভিডিও ফুটেজ রেকর্ড হয়ে থাকে, ফলে দুষ্কৃতিকারীরা এই ব্যবস্থা যুক্ত স্থাপনাগুলো থেকে দূরে থাকে।
আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোতে হাই-ডেফিনিশন ভিডিও রেকর্ডিং, নাইট ভিশন ও স্মার্টফোনের মাধ্যমে পরিচালনা করার সুবিধা থাকে। এর ফলে, এগুলোর মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে তাৎক্ষণিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত বা সন্দেহভাজন আনাগোনা তদারক করা সম্ভব হয়। এমনকি, বাড়িতে না থাকলেও দূরবর্তী স্থান থেকে এই নজরদারি অব্যাহত রাখা যায়।
মোশন সেন্সর লাইট এবং সাইরেন অ্যালার্ম স্থাপন
ঘরবাড়ির আঙিনায় এমন কিছু স্থান থাকে যেগুলো পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও তুলনামূলকভাবে অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকে। মোশন সেন্সর লাইট লাগানোর ক্ষেত্রে এই স্থানগুলোতে অগ্রাধিকার দেওয়া যেতে পারে। এই উন্নত প্রযুক্তি যেকোনো নড়াচড়া শনাক্ত করে এবং নির্দিষ্ট স্থানটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে আলোকিত হয়ে ওঠে। এটি মূলত চোর বা গুপ্ত হামলাকারীদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করার ক্ষেত্রে যথেষ্ট কার্যকর।
আরো পড়ুন: নারীর নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষায় মোবাইল অ্যাপ
এটির সঙ্গে যখন সাইরেন অ্যালার্ম যুক্ত করা হয়, তখন দুটো মিলিয়ে একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থা তৈরি হয়। একসঙ্গে কয়েক জোড়া কদমের অনুপ্রবেশ বা দরজায় কষাঘাতের জন্য প্রধান ফটক বা দরজা এই ডিভাইস সংযুক্ত করার উপযুক্ত স্থান হতে পারে। এতে করে অ্যালার্মের শব্দে শুধু বাড়ির ভেতরে থাকা লোকেরাই নয়; আশেপাশের প্রতিবেশীরাও সজাগ হয়ে যাবে। ফলে সংকটাপন্ন পরিবারকে বাঁচাতে তারাও এগিয়ে আসতে পারবে অথবা পুলিশকে জানাতে পারবে।
রাতে ঘুমানোর আগে সব দরজা-জানালা বন্ধ করা
বাড়ির প্রধান প্রবেশদ্বার এবং জানালাগুলো যদি অসাবধানে খোলা রাখা হয়, তবে বাড়িতে প্রবেশের জন্য প্রাথমিক প্রতিবন্ধকতাই থাকে না। চুরি বা ডাকাতি সাধারণত রাতের অন্ধকারে ঘটে এবং এই ধরনের ভুলের কারণে তখন চরম মূল্য দিতে হয়। অনেকেই বাতাস চলাচলের জন্য রাতভর জানালা খোলা রেখেই ঘুমিয়ে পড়েন। এটি বিশেষ করে বিল্ডিংয়ের নিচের ২-৩ তলার বাসাগুলোর জন্য ক্ষতিকর।
অনেক বাসায় বারান্দা বা জানালায় টেকসই গ্রিল থাকে না। তাই, অন্তত প্রধান ফটকে উচ্চমানের ডেডবোল্ট লক অথবা কমপক্ষে দুটি স্তরের তালা দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা উচিত। এছাড়া, প্রতিদিন ঘুমানোর আগে প্রত্যেকটি লক ভালোভাবে চেক করে নেওয়া একটি ভালো অভ্যাস।
আরো পড়ুন: স্মার্টফোনে ভূমিকম্প সতর্কতা চালু করবেন যেভাবে
প্রতিটি ব্লক বা মহল্লায় টহলরক্ষীসহ গেট নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ
জানমালের নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয় আমলে নিয়ে শুধু রাতের জন্যই নয়, ২৪ ঘন্টার জন্য অতন্দ্র প্রহরার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিটি বিল্ডিংয়ে তো থাকবেই, সেই সঙ্গে ব্লক বা মহল্লার প্রধান গেটেও নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ দিতে হবে। টহলের সময় গেটগুলোতে যেন শূন্যস্থান সৃষ্টি না হয় সেজন্য রক্ষীর সংখ্যা বাড়াতে হবে।
এর মধ্য দিয়ে এলাকায় প্রবেশাধিকার নিরীক্ষণের একটি ব্যবস্থা তৈরি হবে। সাধারণত কেবল ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা বা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সেই এই ব্যবস্থা বেশি চোখে পড়ে। কিন্তু নির্জন রাস্তার বাড়িগুলোর ক্ষেত্রেও গার্ড মোতায়েনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
নিকটস্থ থানা ও আর্মি ক্যাম্পের যোগাযোগ নম্বর সংগ্রহে রাখা
পরিস্থিতি একদম নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কার জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় হলো নিরাপত্তা বাহিনীর যোগাযোগের তথ্যগুলো সংগ্রহে রাখা। এতে দুর্ঘটনা সৃষ্টির আভাস পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন কলের মাধ্যমে তাদের জানানো যায়। নিরাপত্তা হটলাইনের পাশাপাশি নিকটস্থ থানা এবং আর্মি ক্যাম্পের মোবাইল নম্বরও সঙ্গে রাখা আবশ্যক।
খুব বেশি বিপজ্জনক অবস্থার ক্ষেত্রে প্রতিবেশীদেরও এগিয়ে আসা উচিত। এক্ষেত্রে তারা কাউকে বিপদগ্রস্ত দেখার সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে নিরাপত্তা বাহিনীর সাহায্য চাইতে পারে।
আরো পড়ুন:
অ্যাপার্টমেন্টে নতুন আগত ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া
শুধু অ্যাপার্টমেন্টের মালিক বা বাড়িওয়ালাদের জন্যই নয়, নতুন আসা ভাড়াটিয়াদের ব্যাপারে খোঁজ-খবর নেওয়া পুরাতন ভাড়াটিয়াদেরও দায়িত্ব। কোনো ফ্ল্যাটে নতুন কাউকে সাবলেট দেওয়া হচ্ছে কি না এবং নবাগতদের পেশা নিয়ে সুক্ষ্মভাবে যাচাই করা উচিত।
বাড়ির মালিকরা নতুন ভাড়া নেওয়াদের নিকট থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পেশাগত পরিচয়পত্রাদি অবশ্যই সংগ্রহ করবেন। অপরদিকে, অন্যান্য ফ্ল্যাটবাসীরা প্রত্যেকে প্রত্যেকের পাশের ফ্ল্যাটের ব্যাপারে খোঁজ রাখবেন। এভাবে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত গোটা ভবনেই একটি স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় রাখা যাবে।
বাড়ির আঙিনা অন্ধকারাচ্ছন্ন না রাখা
দুষ্কৃতিকারীদের ডাকাতি করার ক্ষেত্রে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং জংলা, ঝোপ-ঝাড়ে আবৃত বাসাগুলো সবচেয়ে বেশি সহায়ক হয়। দুই বাড়ির মাঝের সংকীর্ণ স্থান এবং বাড়ির পেছন ভাগে এমন কিছু অল্প জায়গা থাকে যেগুলোতে দিনের বেলায়ও আলো-আঁধারীর অবস্থা বিরাজ করে। যেসব বাড়িতে বাগান রয়েছে, সেখানে বাগানের সঠিক পরিচর্যা করা না হলে গাছপালা অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। ফলে মধ্য দুপুরেও বাগান ও বাড়ির আঙিনায় সূর্যালোক পৌঁছাতে পারে না। তাই নিয়মিতভাবে ঝোপ, গাছ ও ঘাস ছাঁটাই করা জরুরি।
আরো পড়ুন: হ্যাকিং প্রতিরোধ: অনলাইন কেনাকাটায় ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সাবধানতা
অন্ধকারাচ্ছন্ন জায়গাগুলোতে অতিরিক্ত লাইট বা মোশন সেন্সর লাইট দেওয়া যায়। দীর্ঘ দিন ধরে বাড়ির কাছাকাছি কোনো ল্যাম্প পোস্টের লাইট অকেজো হয়ে গেলে দ্রুত তা বদলে দিতে হবে।
বাড়ির সীমানা ঘিরে দুর্ভেদ্য কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন
অনুপ্রবেশে প্রাথমিকভাবে যতটা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যায় ততই ভালো। বেশ পুরোনো উপায় হলেও বাড়ির সীমানা জুড়ে কাটাতারের বেড়া স্থাপন বাড়ির সার্বিক নিরাপত্তায় অতিরিক্ত স্তর যোগ করে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এগুলোতেও এসেছে যথেষ্ট পরিবর্তন। তাই বেড়া নির্বাচনে সূক্ষ্ম স্পাইক বা কোণযুক্ত ধারের মতো বৈশিষ্ট্যগুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে তা যেন মানসম্পন্ন এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
প্রতিবেশীরা সঙ্ঘবদ্ধভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
যেকোনো প্রতিরোধে সম্মিলিত থাকার কোনো বিকল্প নেই। একের বিপদে অপরজন এগিয়ে আসার মতো তাৎক্ষণিক উদ্যোগ আর কিছুই হতে পারে না। পাশাপাশি দুইটি বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়া তাদের নিজ নিজ বাড়ির আশেপাশে সন্দেহজনক আনাগোনার দিকে খেয়াল রাখা মানে পরস্পরের দিকেই খেয়াল রাখা। নবাগত ভাড়াটিয়ার ব্যাপারে পরস্পরকে শেয়ার করা হলে পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত সমস্যায় একে অপরের বিপদে এগিয়ে যেতে পারে।
এভাবে আগে থেকেই অস্বাভাবিক কার্যকলাপগুলো নিজেদের মধ্যে শেয়ারের মাধ্যমে সতর্ক থাকা যায়। তাছাড়া ভয়াবহ সংকটপ্রবণ মূহুর্তগুলোতে কেবল পুলিশের ওপর নির্ভর না করে নিজেরাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রহরার ব্যবস্থা করা যায়।
আরো পড়ুন: দামি ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনার সুবিধা-অসুবিধা
দীর্ঘ ছুটি কাটানো নিয়ে বাড়ির বাইরে কথা না বলা
বাড়ির বাইরে প্রতিবেশী বা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে আড্ডায় অনেকেই নিজের আসন্ন দীর্ঘ ভ্রমণের কথা বলে ফেলেন। এতে করে তিনি যে একটা উল্লেখযোগ্য সময় যাবত বাড়িতে অনুপস্থিত থাকবেন তা বৃহৎ পরিসরে জানাজানি হয়ে যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ডাকাত বা তাদের সহযোগীরা এলাকার ভেতরেই থাকে। দীর্ঘ সময় ধরে পরিকল্পনা সাজানো হয় নির্দিষ্ট কোনো বাড়িতে ডাকাতির জন্য। এ সময় তারা সাধারণ মানুষের বেফাঁস কথাগুলোর সুযোগ নেয়।
তাই দীর্ঘ ভ্রমণ বা ৬-৭ ঘণ্টার জন্য বাসায় একজনকে রেখে যাওয়ার বিষয়গুলো গোপন রাখা অপরিহার্য। মহল্লার কোনো খাবার হোটেল, টঙের দোকান, পার্ক বা গোলির মোড়ে আড্ডায় এই বিষয়গুলো কোনোভাবেই প্রকাশ করা ঠিক নয়।
পরিশিষ্ট
বাসা-বাড়িতে ডাকাতি প্রতিরোধের এই উপায়গুলো আবাসিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার নামান্তর। এর জন্য প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে সংঘবদ্ধ ভূমিকার সমন্বয় ঘটানো জরুরি। এ ক্ষেত্রে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মোশন-সেন্সর লাইট ও অ্যালার্ম স্থাপনের সুদূরপ্রসারি তাৎপর্য রয়েছে। রাতে দরজা-জানালা বন্ধ রাখা, সীমানায় কাটাতারের বেড়া স্থাপন, মহল্লায় প্রহরা বাড়ানো এবং প্রতিরক্ষা বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের তথ্য সংগ্রহে রাখা সাধারণ সতর্কতা। তবে নতুন ভাড়াটিয়াদের যাচাই করা, দীর্ঘ ভ্রমণের ব্যাপারে ঘরের বাইরে আলাপ না করা, এবং প্রতিবেশীরা সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নেওয়া সক্রিয়তার পরিচয় দেয়।
সর্বসাকূল্যে, প্রত্যেকটি কৌশলকে একীভূত করার মাধ্যমে বাড়ির মালিক এবং ভাড়াটিয়া উভয় শ্রেণি সমানভাবে উপকৃত হতে পারবেন।
আরো পড়ুন: আইফোন চুরি প্রতিরোধে অ্যাপলের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা
১৬৭ দিন আগে
ডাকাতির সময় আজিমপুর থেকে অপহৃত শিশু উদ্ধার
শুক্রবার ঢাকার আজিমপুর এলাকার একটি বাড়িতে ডাকাতির সময় অপহৃত আট মাসের শিশুকে মোহাম্মদপুর থেকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা।
র্যাব সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোরে শিশুটিকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার আজিমপুরের মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে একটি বাসা থেকে নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে ডাকাতরা। তারা লুটপাটের মালামাল নিয়ে পালানোর সময় শিশুটিকে অপহরণ করে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ডাকাতি, অস্ত্রসহ নওগাঁয় গ্রেপ্তার ৪ ডাকাত
পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভুক্তভোগী ফারজানা আক্তারের ফ্ল্যাটে সাবলেট হিসেবে বসবাস করতে আসেন এক নারী।
শুক্রবার সকালে, ওই নারীর ভাই পরিচয়ে দুই পুরুষ বাসায় ঢুকে ফারজানাকে বন্দি করে নগদ দেড় লাখ টাকা এবং চার তোলা সোনা লুট করে।
স্টাফ কোয়ার্টারের বাসিন্দা ফারজানা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী। তার স্বামী ও সন্তান নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে ডাকাতিয়ায় তেলবাহী জাহাজে আগুন, দগ্ধ ৬
১৬৮ দিন আগে