অভিযুক্ত রিয়াজ আহম্মেদ কাননের (১৫) শাস্তির দাবিতে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের বড়মাঠ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
এ সময় ২ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ধর্ষণের পর সুমনাকে হত্যা করার পেছনে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তারসহ ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।
এতে বক্তব্য দেন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফারিহা আফরিন ঐশি, উদীচী জেলা সংসদের সভাপতি সেতারা বেগম, প্রেস ক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী, শিক্ষাবিদ প্রফেসর মনতোষ কুমার দে ও নিহত সুমনার মা ময়না বেগম।
পরে জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে দ্রুত বিচার আইনে দোষীকে মুখোমুখি করার ঘোষণা দিলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে শহরের গোয়ালপাড়া এলাকায় রিয়াজ আহম্মেদ কাননদের বাসার একটি কক্ষ থেকে মাটি খুঁড়ে শিশু সুমান হকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে একই এলাকার জুয়েলের মেয়ে ও ঠাকুরগাঁও সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।