চট্টগ্রামে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিয়ে করে আলোচিত সেই ফাহমিদা কামাল (২৫) অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন।
সোমবার সকালে নগরীর বাকলিয়াস্থ নিজ বাসায় তার মৃত্যু হয়।তার পারিবারিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ফাহমিদা কামালের নানা চট্টগ্রাম সিটি করপোশনের সাবেক কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন সাকীর জানান, হাসপাতালে বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পর ফাহমিদা হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে যেতে অস্থির হয়ে উঠেছিল। তার ইচ্ছেতেই কয়েকদিন আগে তাকে দক্ষিণ বাকলিয়ার বাসায় নেয়া হয়। সেখানে আজ সোমবার সকালে সে মারা যায়।
জানা যায়, কক্সবাজারের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হকের ছেলে মাহমুদুল হাসান নর্থ সাউথ থেকে এমবিএ আর চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ বাকলিয়াতে জন্ম নেয়া ফাহমিদা কামাল আইইউবি থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করেছে। শিক্ষাজীবনে দুজনের পরিচয়।একসময় তা প্রেমের সম্পর্কে রূপ নেয়। একসময় ফাহমিদার শরীরে বাসা বাধে মরণঘাতী ক্যান্সার।
তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা এভারকেয়ার পরবর্তীতে ভারতের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালে নেয়া হয়। সেখানে দীর্ঘ একবছর চিকিৎসার পর ডাক্তাররা জানিয়ে দেন তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন: ‘হাসপাতাল বেডেই মৃত্যু পথযাত্রী প্রেমিকাকে বিয়ে করলেন প্রেমিক’
শেষ চেষ্টা হিসেবে পরিবারের সদস্যরা ২৫ বছর বয়সী ফাহমিদাকে চট্টগ্রামে নিয়ে এসে মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করাই। সেখানে চলতে থাকে চিকিৎসা। কিন্তু ক্রমাগত ফাহমিদার শারীরিক অবস্থায় অবনতি হতে থাকে।
ফাহমিদা ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পরও চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়ে তাকে বিয়ে করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রেমিক মাহামুদুল হাসান।
অবশেষে উভয় পরিবার সম্মতিতে গত ৯ মার্চ রাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল বেডে বউ সাজিয়ে এক টাকা কাবিনে বিয়ের আয়োজন হয় তাদের।
তবে বিয়ের ১১ দিনের মাথায় পরপারে চলে গেলেন ফাহমিদা কামাল।