পৌষের শুরুতেই নওগাঁয় হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় শীতের দাপট বেড়েছে। আকাশে হালকা কুয়াশা ও মেঘের কারণে গতকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের। দিনের বেলাতেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
রবিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে বদলগাছী কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র। গতকাল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন থেকে নওগাঁয় হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করেছে। দিন-রাত বইছে ঠান্ডা বাতাস;এ কারণে শীতও বেশি অনুভূত হচ্ছে।
নওগাঁর বরুণকান্দি এলাকার ভ্যানচালক জয়নাল আবেদীন বলেন, গত দুই দিন থেকে শীত অনেক বেশি। ভ্যান চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। হাত কাঁপাকাঁপি করে, হ্যান্ডেল ভালো করে ধরে রাখা যায় না। লোকজনও সেভাবে বাইরে বের হচ্ছে না। কিন্তু পেটের দায়ে ঠান্ডা লাগলেও বাইরে আসতে হচ্ছে।
বদলগাছী আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের উচ্চ পর্যবেক্ষক হামিদুল হক বলেন, জেলায় আজকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল থেকে সূর্যের দেখা না পাওয়ায় আজকে শীত কিছুটা বেশি। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা এ রকম থাকতে পারে।
নওগাঁ জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আশেকুর রহমান জানান, প্রতিটি উপজেলায় অসহায় ছিন্নমুল দিনমজুর মানুষের মাঝে গরম কাপড় বিতরণ করার জন্য ইতোমধ্যে ছয় লাখ টাকা করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এতে জেলার ১১ উপজেলায় এখন পর্যন্ত মোট ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জেলায় সাড়ে ৭ হাজারটি কম্বল বরাদ্দ এসেছে, যেগুলো বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।